ফুটবলের মেসি-রোনাল্ডো আর ক্রিকেটের বাবর আজম, যেন এক সূত্রে গাঁথা। মাঠে নামলেই নিত্যনতুন রেকর্ড গড়া তাদের স্বভাব।
এই তো কদিন আগে ফুটবলের পর্তুগিজ যুবরাজ বলেছিলেন, 'আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমাকে খুঁজে নেয়।'
এবার একই কথা বলতে পারেন বাবর আজমও। ফর্মের তুঙ্গে থেকে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন আর রেকর্ড জমাচ্ছেন ভূরি ভূরি পাকিস্তান অধিনায়ক।
সেঞ্চুরি হাঁকানো তার নেশায় পরিণত হয়েছে। তবে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পাননি বাবর। ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। কিন্তু তাতে রেকর্ড গড়া থেকে তাকে থামানো যায়নি।
ওই ইনিংসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ৯ ইনিংসে ফিফটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটার। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি ভেঙেছেন স্বদেশি কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদের রেকর্ড।
যদিও শুক্রবার এর চেয়েও বড় একটি রেকর্ড গড়তে পারেননি বাবার। তা ছিল ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টানা চার ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার কীর্তি।
কিন্তু ইনিংসের ৩৬তম ওভারে আকিল হোসেনের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৭৭ রানে থামতে হয় বাবরকে।
সেই কীর্তি না গড়া হলেও ফিফটির রেকর্ডটি বাবর করে ফেলেন ৬৭ বল খেলে। ২৭.৪ ওভারে সেই আকিলের বল লনঅনে পুশ করে ৫০ পূরণ করেন বাবর।
এরই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাবরের টানা নবম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা এত ইনিংসে ফিফটি নেই আর কারও।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত মার্চে করাচি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রান করেছিলেন বাবর।
এর পর বাবরের খেলা ইনিংসগুলো হলো— ৬৭, ৫৫, ৫৭, ১১৪, ১০৫*, ৬৬, ১০৩ ও ৭৭ রানের। তিনি ভেঙেছেন জাভেদ মিঁয়াদাদের করা টানা আট ইনিংসে ফিফটির রেকর্ড।
১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত টানা আট ওয়ানডে ইনিংসে ৫০ ছুঁয়েছিলেন মিঁয়াদাদ।