২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:০৩:২২ পূর্বাহ্ন
হামাস-ইসরাইল সংঘাত: নিহত হাজার ছাড়াল
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১০-২০২৩
হামাস-ইসরাইল সংঘাত: নিহত হাজার ছাড়াল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিন রোববারও অব্যাহত ছিল। শনিবার হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করে বেশ কিছু বসতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই হামলার ঘটনায় গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। 


বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইসরাইলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধ শুরুর জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অনুমতি দিয়েছে। এর পর গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। তবে হামাসও সাধ্যমতো প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে। ফলে রোববার দুই পক্ষে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে অনেক।


ইসরায়েল স্বীকার করেছে যে, হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭০ জনে। যদিও সংঘর্ষ চলাকালে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা বলা মুশকিল। 


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার (৭ অক্টোবর) গাজা থেকে ইসরাইলে অনুপ্রবেশ করা হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রোববারও অভিযান অব্যাহত রাখে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী। 


ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, দক্ষিণাঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের দখল করা ২২টি স্থান সুরক্ষিত করা হয়েছে। তবে এখনও তারা ৮টি স্থান দখল করে রেখেছে। এগুলো মুক্ত করতে সংঘর্ষ চলছে।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, রোববার সকালে গাজার কাছাকাছি ইসরাইলি বসতিতে গোলাগুলি হয়েছে। অ্যাশকেলন শহরের কাছে ইসরাইলি সেনারা একটি চুরি করা গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীকে ধাওয়া করে। পরে একটি প্রধান সড়কে নাটকীয় বন্দুকযুদ্ধে তাদের হত্যা করেছে।


এদিকে গাজা সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসরত ইসরায়েলি বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।


ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার হালনাগাদ তথ্যে বলেছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭০ জনে। অবরুদ্ধ উপকূলীয় ছিটমহলে ইসরাইলের চলমান হামলায় আরও ২ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন।


অপরদিকে ইসরাইলি সরকারের প্রেস অফিসের একটি ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, শনিবার থেকে ৬০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। পোস্টে বলা হয়েছে, শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণ ও ২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।


ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা ৬৫৯ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


শেয়ার করুন