বিভিন্ন মামলায় আগে থেকে যাঁরা জড়িত, তাঁদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাঙচুর, অগ্নি-সন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যাঁরা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নতুন করে গ্রেপ্তারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।’
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে, সেই নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয়, সেটার জন্য নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহু দল আছে, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। দু-একটি দল অংশ না নিলে সেই নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে, সেটা তাদের ব্যাপার।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পঁচাত্তরে খন্দকার মোশতাক ও মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা—এ সমুদয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল, সেই ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে তাঁদের উত্তরসূরিরা এখনো সরে দাঁড়ায়নি। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বহন করে চলছে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি।’
এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটি থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্মূল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যত দিন না শেখ রাসেলের মতো অবুঝ শিশুর জন্য এই দেশ নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে না তুলতে পারব, তত দিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে শেখ রাসেলসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে অংশ নেন দলীয় নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।