২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন
পরীক্ষায় নিয়োগ হবে শিক্ষক বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন প্রক্রিয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১০-২০২৩
পরীক্ষায় নিয়োগ হবে শিক্ষক বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন প্রক্রিয়া

বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ। এর পরিবর্তে আগামীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হবে পরীক্ষার মাধ্যমে। এ জন্য শিগগিরই বদলে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নামও। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্রমতে, আগামীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন সনদ বা প্রত্যয়ন প্রথা উঠে যাচ্ছে। আর এর পরিবর্তে পরীক্ষা নিয়ে উত্তীর্ণদের তালিকা করে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এ জন্য সংশোধন হচ্ছে আইন। সনদ বা প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া তুলে দেয়ায় বদলে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নামও।

সূত্র আরো জানায়, নতুন এ আইন মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন পেয়ে সংসদে পাস হয়ে এলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আর সনদ দেয়া হবে না। তার বদলে উত্তীর্ণদের একটি তালিকা করা হবে। শিক্ষার অধিদফতরগুলো থেকে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে সেসব পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবেদন নেয়া হবে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেবে। এনটিআরসিএ আইন ফের সংশোধন করে এসব প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।


জানা গেছে, ২০০৫ সালে প্রণীত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে যোগ্য প্রার্থীকে প্রত্যয়ন দিতে মূলত ওই আইনবলেই এনটিআরসিএ গঠিত। তবে ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে এনটিআরসিএকে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। সম্প্রতি এনটিআরসিএ আইন সংশোধন করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে নতুন আইনের একটি খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। খসড়াটি পর্যালোচনা করে কেবিনেট ডিভিশন আরো কিছু অংশ সংস্কারের পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। খসড়া আইনে প্রার্থী বাছাইয়ের আইনি ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেয়ায় প্রত্যয়ন বা সনদ দেয়ার প্রক্রিয়া উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি এসেছে। আর শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ বা প্রত্যয়নের বিষয়টি উঠিয়ে দেয়ায় ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের’ নামে কিছু সংস্কার আনার বিষয়টি উঠে এসেছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এনটিআরসিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভাও হয়েছে।


এ বিষয়ে এনটিআরসিএর কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশোধিত খসড়ার বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করে ফের আইনের খসড়া করে তা কেবিনেটে পাঠানো হবে। এমনটাই আলোচনা হয়েছে ওই সভায়। তিনি আরো বলেন, তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হবে আগের মতোই।

প্রিলিমিনারি, লিখিত ও পরে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে সাবজেক্টের বিপরীতে নয়, পদের বিপরীতে নিবন্ধন করা হবে। এ ক্ষেত্রে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের একটি মেধাতালিকা হবে, আদলতেরও এমন একটি নির্দেশনা আছে। পরে অধিদফতরগুলো থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ওইসব পদে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেয়া হবে ঠিক যেমনটি এখন হয়।

তারা আবেদন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে মেধা বা নম্বর অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশ পাবেন। তবে এখন যে নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে সনদ বা প্রত্যয়ন দেয়া হয় সেটি আর দেয়া হবে না। তাই কেবিনেটের পর্যবেক্ষণ, এনটিআরসিএর নাম সংশোধন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নাম হবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও সুপারিশ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।


শেয়ার করুন