০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী মহানগর আ.লীগের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১১-২০২৩
রাজশাহী মহানগর আ.লীগের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবস পালন

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী মধ্য দিয়ে পালিত জেল হত্যা দিবস। ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কর্মসূচী সমূহের মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।


সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ১০.৩০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে শোক র‌্যালী বের হয়। শোক র‌্যালীটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এঁর সমাধীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।


এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত থানা আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন এবং নগরীর বিভিন্ন পেশাশ্রেণির ব্যক্তিবর্গ শহীদ কামারুজ্জামান এঁর সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, ঢল নামে সাধারণ জনগণের। শহীদ কামারুজ্জামান এঁর সমাধী ফুলে ফুলে ভরে উঠে সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। পুষ্পস্তবক অর্পণ সেখানে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এঁর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু এঁর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা।


এছাড়াও নগরীর সকল এতিমখানা ও মাদ্রাসায় মানবভোজ বিতরণ করা হয়। নগরীর সকল ওয়ার্ডে কোরআন তেলাওয়াত সম্প্রচার করা হয়।


সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে এবং ৩রা নভেম্বর কারাভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা একইসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতার হত্যা মামলার বিচারের রায় হয়েছে। রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড সহ বিদেশে পলাতক আসামীদের দেশে ফিরে এনে রায় কার্যকর করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। তবে সরকারের এই চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ওই সমস্ত দেশ যারা খুনীদের নানা অজুহাতে ফেরত দিতে চায় না। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ব্যক্তি কারা ছিলেন, তাদের দেখতে চায় জাতি। হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ও নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করার জন্য কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি। আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।


তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহচর জাতীয় চার নেতা। যা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রমাণ হয়েছে। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানি করেননি, অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি। এই বিষয়গুলো আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে।


খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত কখনো দেশের কল্যাণ করেনি। আগামীতেও করবে এমন আলামত নেই। বিএনপির নেতৃত্বের ঠিক নাই। তাদের নেতা কে তারা নিজেও বলতে পারে না। খালেদা জিয়া আসামী হয়ে দণ্ডিত হয়েছেন, অসুস্থ্য হয়ে আছেন। তারেক জিয়া দণ্ডিত হয়ে বিদেশে পলাতক। এই রকম একটি দল বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারবে না-এটি বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না।


উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, হাবিবুর রহমান বাবু, শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আখতারুল আলম, আব্দুস সালাম, কল্পনা রায়, মাহবুবা কানিজ কেয়া, এ্যাড. শামীমা আখতারী, বাদশা শেখ, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, মুকুল শেখ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।


শেয়ার করুন