বিশ্বকাপে এক যুগ পর ফাইনালে উঠেছে ভারত। সব কয়টি জয় নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপে ভারত অপ্রতিরোধ্য। ব্যাটিং-বোলিংসহ সব বিভাগেই দারুণ ছন্দে রোহিতরা। তবু দলের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু খামতি। ফাইনাল ম্যাচের আগে যা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি ও চাপ থাকতে পারে টিম ইন্ডিয়া শিবিরে।
আগামী রোববার আহমেদাবাদে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবেন স্বাগতিকরা।
বিশ্বকাপের আগে ভারতের ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা ছিল। শুভমান গিল কিংবা বিরাট কোহলিরা ছন্দে থাকলেও রান পাচ্ছিলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা কিংবা কেএল রাহুলরা। এ ছাড়া মিডল অর্ডারে আস্থার প্রতিদান দিতে পারছিলেন না সূর্যকুমার যাদবরাও। তবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দুর্দান্ত ফর্মে ভারতের ব্যাটাররা। ভারত যে ১০টি ম্যাচে জিতেছে, প্রতিটিতেই প্রথম পাঁচ ব্যাটাররা রান পেয়েছেন। রোহিত ভালো শুরু করছেন। পরের দিকে কোহলি, শ্রেয়াস আয়ার, কেএল রাহুলরাও রান পাচ্ছেন।
ফাইনালে যদি প্রথম দিকের ব্যাটারা ব্যর্থ হন, তা হলে ভারত চাপে পড়বে। কারণ বিশ্বকাপে এখনো রবীন্দ্র জাদেজাদের তেমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। এ ছাড়া ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন নির্ভরযোগ্য হার্দিক পান্ডিয়া। শেষের দিকে রান তুলতে তার জুড়িমেলা ভার।
চলতি বিশ্বকাপে ভারতের সাফল্যের অন্যতম কারণ তাদের বোলিং ইউনিট। বুমরাহ-শামিরা প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের তেমন খেলার সুযোগই দিচ্ছেন না। বিশেষ করে প্রথম দিকে চার ম্যাচ সুযোগ না পাওয়া শামি দলে ফিরে নিজের সেরা ফর্মে আছেন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকও তিনি। এ ছাড়া স্পিন বিভাগেও কুলদীপ যাদব কিংবা জাদেজা নিজেদের কাজটা করে যাচ্ছেন। যদিও কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকতে পারে মোহাম্মদ সিরাজের খরুচে বোলিং নিয়ে। ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার উদ্দেশ্যহীন বোলিংয়ে বিপদে পড়েছিল ভারত। রাউন্ড দ্য উইকেটে দিশাহীন বল করছিলেন। বিশ্বকাপে ১৩ উইকেট রয়েছে তার। কিন্তু ইকোনমি রেট বেশ খারাপ। ঘরের মাঠে আবারও শিরোপা জয়ের দারুণ সুযোগ ভারতের সামনে