২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৭:৫২ অপরাহ্ন
ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১১-২০২৩
ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কঠিন চাপের মুহূর্তে দলের হাল ধরে অনবদ্য সেঞ্চুরি করেছেন ট্রাভিস হেড। তার সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। 

বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে ধারাবাহিক জয়ে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে উঠে আসে ভারত। অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা ভারতের বিপক্ষে ২৪১ রানের টার্গেট তাড়ায় ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। 

চতুর্থ উইকেটে মার্নাস লাবুশেনকে সেঙ্গে নিয়ে শতরানের অনবদ্য জুটি গড়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে গেছেন ট্রাভিস হেড। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩৫ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেটে ১৯২ রান। ১০৭ ও ৪১ রানে ব্যাট করছেন ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন। জয়ের জন্য শেষ ৯০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন মাত্র ৪৯ রান।

২৪১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ শামির করা বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার বিদায়ে ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।

এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই দলীয় ৪১ রানে জসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মিচেল শার্ম। দলীয় ৪৭ রানে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।

ক্রিকেট বিশ্বকাপের চলতি আসরে অপ্রতিরোধ্য ভারত। ফাইনাল ম্যাচের আগে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলকে হারাতে পারেনি কোনো দল। অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা ভারতকে ফাইনালে ২৪০ রানে অলআউট করে দিল অস্ট্রেলিয়া। 

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের অতীতের ১২ আসরের মধ্যে রেকর্ড পাঁচবার শিরোপা জিতে নেয়। এবার ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের দুয়ারে রয়েছে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দলটি।

অন্যদিকে ভারত অতীতে দুইবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে। ১৯৯৩ সালে কপিল দেব, আর ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোরিন নেতৃত্বে। তবে ২০০৩ সালের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করে ভারত। 

রোববার ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ বলে স্কোর বোর্ডে ৩০ রান জমা করেই সাজঘরে ফেরেন শুভমান গিল। তিনি মিচেল স্টার্কের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন। 

এরপর সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ৩২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা। দলীয় ৭৬ রানে ৩১ বলে চারটি চার আর তিন ছক্কায় ৪৭ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ বলে ৪ রানে আউট হন শ্রেয়াস আইয়ার। 

ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০.২ ওভারে ৮১ রানে শুভমান গিল, রোহিত শর্মা ও শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট হারিয়েছে কঠিন চাপের মধ্যে পড়ে যায় ভারত।

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও তারকা ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে ১০৯ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১৪৮ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেন কোহলি।

কোহলি আউট হওয়ার পর ফিফটি তুলে নিয়ে ফেরেন লোকেশ রাহুল। তিনি ১০৭ বলে মাত্র এক চারে ৬৬ রান করে দলীয় ২০৩ রানে ফেরেন। রাহুল আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৯ রানে ফেরেন রবিন্দ্র জাদেজা। 

ইনিংসের শেষ দিকে ১০ বলে ৬ রানে ফেরেন পেসার মোহাম্মদ শামি। ৩ বলে ১ রানে ফেরেন আরেক পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। ২৮ বলে ১৮ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সুরাইয়া কুমার যাদব। ১০ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হন কুলদীপ যাদব। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। 

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০ ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ১০ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১০ ওভারে ৬০ রানে ২ উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।

শেয়ার করুন