দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসনটিতে প্রার্থী হওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেনদরবার চলছে তৈমূর আলমের। সরকারের একটি পক্ষ তৈমূরকে এই আসনে প্রার্থী না হতেও বলেছিল।
কোন আসনে নির্বাচন করবেন, তা নিয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের কথোপকথনের একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয়। তাতে ফোনের ওপাশ থেকে তৈমূর আলমকে কিছু বলা হয়।
জবাবে তৈমূর আলম বলেন, ‘৫-এ (নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন) কিনব না। প্রধানমন্ত্রীর সামনে যা বলার বলেছি। কথার পরিবর্তন করব না। ওনারা গাজীর (গোলাম দস্তগীর) কাছ থেকে বায়াসড (প্রভাবিত) হয়েছে। আমাদের দিয়ে যা খুশি করাবেন, তা হবে না।’
বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের অভিযোগ, সরকারি মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মতো দল গঠন করে বিরোধী দলগুলোতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চলছে। এমন আলোচনার মধ্যেই তৃণমূল বিএনপির মহাসচিবের আসন নিয়ে কথোপকথনের ভিডিওচিত্র রাজনৈতিক মহলে আলোচনার তৈরি করে।
তৈমূর আলম খন্দকার ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চায়। তারা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচন করার দাবি করতেই পারে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন কথার প্রসঙ্গে এটি বলেছি, তা–ও একটা বিষয়। সিট ভাগাভাগি হলে তো নৌকা চাইতাম।
অবশ্য কথোপকথনটি কার সঙ্গে হয়েছে, তা প্রকাশ করতে রাজি হননি তৈমূর আলম।
বুধবার রাজধানীর পল্টনে তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দলটি।
তৃণমূল বিএনপি জানিয়েছে, বাকি আসনগুলোতে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে। দল ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন।
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
