২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৫:৪৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
পেঁয়াজের ডাবল সেঞ্চুরি, দাম বাড়ল রসুন-চিনি ও ডালের
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১২-২০২৩
পেঁয়াজের ডাবল সেঞ্চুরি, দাম বাড়ল রসুন-চিনি ও ডালের

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দেশের অন্যতম বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। অথচ বৃহস্পতিবারে পণ্যটির দাম ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। বৃহস্পতিবার রসুনের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। শনিবার সেটি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার চিনি বিক্রি হয়েছিল মণপ্রতি ৪ হাজার ৯৮০ টাকা এবং শনিবার বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৪০ টাকা করে।


এর আগে গত ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেশটি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও এর মধ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিল ভারত।


এদিকে, ভারত হঠাৎ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে এখনই পণ্যটির বাজারে সংকট তৈরি হয়নি। বাজারে সরবরাহ এবং বিভিন্ন গোডাউনে মজুত স্বাভাবিক রয়েছে। অথচ একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, বাজারে যে পেঁয়াজ রয়েছে সেগুলো আগের দামে কেনা। অথচ ভারত ঘোষণা দিল আর এই অজুহাতে একটি পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেল! আমরা জানি ব্যবসায়ীরা তার খরচের সঙ্গে মিলিয়ে লাভ করে দাম নির্ধারণ করে থাকেন। কিন্তু এখন তারা যা করছেন, সেটি ডাকাতি বলা যাবে কি-না আমি শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। আবার বাজারে সরকারের কোনো তদারকি নেই। ব্যবসায়ীরা যে যার যার খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছেন। এতে করে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। অথচ চাইলে সরকার একদিকে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারত এবং একই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত বিকল্প দেশ খুঁজে বের করতে পারত। এতে করে এ রকম সংকট আর তৈরি হত না।


চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণায় দাম বেড়েছে। দ্রুত পণ্যটি আমদানির জন্য বিকল্প দেশ খুঁজে বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তান অথবা তুরস্ক থেকে সরকার আমদানি করতে পারে। না হয় পণ্যটির দামে লাগাম টানা যাবে না।


শেয়ার করুন