২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৪:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১২-২০২৩
বাংলাদেশের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশ ইস্যু। বিশেষ করে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কিনা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে—এমন বিষয় উঠে আসে প্রেস ব্রিফিংয়ে। বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।


স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে জিজ্ঞেস করা হয়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো খবর আছে কী?


জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আজ নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিচ্ছি না আমি। কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে আমরা সেই বিষয়ে কোনো পর্যালোচনা করি না। এটি আমাদের দীর্ঘ দিনের অভ্যাস।’


অপর এক প্রশ্নে মিলারকে জিজ্ঞেস করা হয়, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসন্ন ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভুয়া খবর, ভুয়া ভিডিওসহ পরিকল্পিত প্রচারণা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবস্থান কী?


জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে নির্বাচন সম্পর্কিত প্রচারণায় আমরা ডিপ ফেক প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে হেরফের ও প্রভাবিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বৈশ্বিক উদ্বেগজনক প্রবণতার অংশ।’


অপর এক প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার রক্ষায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (একে আব্দুল মোমেন) ও তাঁর ডেপুটি দাবি করছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকেও ম্যানেজ করতে পারবেন। সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সমর্থন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?


জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও কারাগারে নির্যাতনের প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়াতে আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই, যাতে সবাই সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই প্রাক-নির্বাচন এবং নির্বাচনী পরিবেশে অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারে।’


শেয়ার করুন