রাজশাহী-৫ আসনের জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। তবে এবার ভোটের ফলাফল স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকে যেতে পারে বলে ধারণা ভোটারদের। তিনি একচেটিয়া অবস্থানে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ভোটাররা।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এ আসনের বর্তমান এমপি ডা. মনসুর রহমান। মনসুর রহমান দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। মনোনয়ন তোলার পর তিনি প্রত্যাহার করে নেন। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ওবায়দুর রহমান। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিমধ্যে ঈগল প্রতীক নিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, এই আসনে নৌকার মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠেছে ঈগল প্রতীক। তার পক্ষে নেমেছে আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ্য নেতারা। এছাড়াও আছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। কেউ গোপনে কেউ নেমেছে প্রকাশ্যে ঈগল প্রতিকের পক্ষ নিয়ে। প্রথম দিকে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানও সতেজ হয়ে উঠেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ আসনের প্রবীণ রাজনীবিদ থেকে শুরু করে নবীনরাও নৌকা ছেড়ে এখন ঈগলের ডানায় উঠে দাঁড়িয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি প্রচার-প্রচারণা করতে গিয়ে প্রতিকুল পরিবেশের সম্মুখীন হচ্ছি। আমার সমর্থকরা বিভিন্ন যায়গায় প্রচারণা চালাতে গিয়ে মারও খাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কর্মী নামানোও অনেক দুষ্কর। তবে আমার জন্য দলের নিবেদিত প্রাণরা কাজ করছেন। বলতে গেলে এখন সবাইকে পাশে পাচ্ছি। আমাকে জয়ী করার জন্য আমার সমর্থকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আমি জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীসহ ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, ঈগল প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান, জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী আবুল হোসেন, গণফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী মখলেসুর রহমান, বিএনএম মনোনিত প্রার্থী শরিফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আলতাফ হোসেন মোল্লা নির্বাচন করছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভায় রাজশাহীর বানেশ্বর কলেজ মাঠে ১০ হাজার লোকও উপস্থিত না করতে পারায় দারার প্রতি আরো ক্ষুব্ধ হোন নেতা কর্মীরা। তারা এর জন্য দারার প্রতি নেতাকর্মীদের অবস্থান তলানীকে দায়ী করেন।