যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ঘুষ নিয়েছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের সাবেক প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিন দাবি করেছেন, ২০১৬ সালে বাইডেন ইউক্রেনের একটি জ্বালানি কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোকিন এই দাবি করেন।
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোকিন জানান, ২০১৬ সালের দিকে তিনি ইউক্রেনীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান বুরিসমা এনার্জির ওপর একটি তদন্ত পরিচালনা করছিলেন। সে সময় বাইডেন তৎকালীন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট পিওতর পরশেঙ্কোকে বাইডেন চাপ দিয়েছিলেন যেন, শোকিনকে তাঁর দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়। বাইডেন বুরিসমার হয়ে এই চাপ প্রয়োগ করেছিলেন এবং বিনিময়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন। বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন সে সময় বুরিসমার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
সাবেক এই প্রসিকিউটর আরও বলেন, পরশেঙ্কো এবং বাইডেন বুঝতে পেরেছিলেন—আমি যদি তদন্ত চালিয়ে যাই তাহলে বুরিসমায় হান্টার বাইডেন এবং অপর এক মার্কিন নাগরিক ডেভন আর্চারসহ যারা দুর্নীতি করেছিলেন তার প্রমাণ ফাঁস হয়ে যেতে পারে।
পরে ভিক্টর শোকিনকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি ইউক্রেনে যে দুর্নীতি চলছে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শোকিন বলেন, তাঁর ‘দৃঢ় ব্যক্তিগত প্রত্যয়’ ছিল যে—জো এবং হান্টার বাইডেন উভয়ই বুরিসমা মামলায় নিজেদের পিঠ বাঁচাতে প্রচুর ঘুষ নিয়েছিলেন। এবং তাঁরা নিজেরাও নিচ্ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটিও সত্য যে, জো বাইডেন আমাকে বরখাস্ত করার জন্য চাপ দিতে ১০০ কোটি ডলার নিয়েছিলেন।’
এদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ইয়ান স্যামস শোকিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং শোকিনের দায়িত্বকালের সময় তাঁর কার্যালয় দুর্নীতির আড্ডা ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন।