ফের টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানদের বিপর্যয়ে মাশুল গুনলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ হারল স্বাগতিকরা।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাত্তাই পায়নি ক্যারিবীয়রা। আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড দাঁড় করায় ৫ উইকেটে ২১৫ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সফরকারী নিউজিল্যান্ড পায় নিজেদের ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ৯০ রানের ব্যবধানে জয়।
৮৭ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে ক্যারিবীয়রা। আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড দাঁড় করায় ৫ উইকেটে ২১৫ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সফরকারী নিউজিল্যান্ড পায় নিজেদের ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ৯০ রানের ব্যবধানে জয়।
ওয়ালশ ৮ বলে ১০ ও ম্যাকয় ১৫ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। রভম্যান পাওয়েল ২১ ও রোমারিও শেফার্ড করেন ১৮ রান। ২১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে মাত্র ১৯ রানে চার উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দশ ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান ছয় ব্যাটার।
টপঅর্ডারের এমন ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয় ছিল অবধারিত। যা হয়েছে মূলত দুই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ঘূর্ণিতে। দুজনই সমান ১৫ রান খরচায় নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। তবে ব্রেসওয়েল পেয়েছেন একটি মেইডেন ওভার, যা ছিল না স্যান্টনারের।
জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ঝড় তোলেন নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটার। বিশেষ করে চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৫.২ ওভারে ৮৩ রান যোগ করেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারেল মিচেল। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটিতে চারটি চার ও ছয়টি মারে ৪১ বলে ৭৬ রান করেন ফিলিপস।
ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন মিচেল। তার ব্যাট থেকে আসে দুইটি চার ও চারটি ছয়ের মারে ২০ বলে ৪৮ রানের টর্নেডো ইনিংস। এছাড়া মার্টিন গাপটিল ১১ বলে ২০ ও ডেভন কনওয়ে খেলেন ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস। যা দলকে এনে দেয় ২১৫ রানের নিরাপদ সংগ্রহ।