০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৪৪:০৬ অপরাহ্ন
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৮-২০২৩
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ

বহুল কাক্সিক্ষত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের পুরোটাতে সফলভাবে চালানো হয়েছে ট্র্যাক কার। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন দিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যাত্রা করে ট্র্যাক কারটি। দুপুর পৌনে ১টার দিকে এটি আখাউড়ার শিবনগর এলাকায় ত্রিপুরা সীমান্তের জিরোলাইনে পৌঁছায়।


 


সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এ লাইনে ট্রেন চালাতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সম্ভাব্য উদ্বোধনের দিনকে সামনে রেখে এ রেলরুটের ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে পুরোদমে। ওই দিন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর রেলপথটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।


আখাউড়া-আগরতলা রেলরুটে ট্র্যাক কার চলছে গত কয়েক দিন ধরেই। এ কারে করেই রেললাইনে পাথর ঢালা হচ্ছে। গতকাল প্রথমবারের মতো বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত হালকা ওজনের এ ট্র্যাক কার চলেছে সীমান্তের শূন্যরেখা পর্যন্ত।


প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতের নয়াদিল্লির টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ প্রধান শরৎ শর্মা বলেন, আখাউড়া অংশের সাড়ে ছয় কিলোমিটার এলাকায় রেললাইন বসানো হয়েছে। এখনো ভারী ইঞ্জিনে ট্রেন চলাচলের জন্য আরও


কিছু কাজ করতে হবে। তবে ট্র্যাক কারে করে মঙ্গলবার আখাউড়া অংশের পুরো রেললাইন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আরও ঠিক কী কী কাজ করা প্রয়োজন তা দেখে এলাম। আশা করছি আগামী দশ দিনের মধ্যে পুরো রেললাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী হবে।


বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন বসানো হয়ে গেছে। ফিটিংস লাগানো শেষ হয়েছে। এখন বেলাস্টিং চলছে, পেকিং দেওয়া হচ্ছে যাতে লেভেল ঠিক থাকে। এ মাসের শেষের দিকে এ কাজ শেষে রেলইঞ্জিনে ট্রায়াল হবে। ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে। তবে আগামী ৯ তারিখের মধ্যে অনেকটা উপযোগী করা যাবে।


আখাউড়া থেকে ভারতের ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলরুটটি সাড়ে দশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে। এখানে সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। বাকি চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও রেলযোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এ রেলরুট। কলকাতা থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগও স্থাপন হবে এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


শেয়ার করুন