২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:১১:২০ অপরাহ্ন
বাঘায় নৌকায় ভোট দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন ছেলে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০১-২০২৪
বাঘায় নৌকায় ভোট দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন ছেলে

রাজশাহীর বাঘায় নৌকায় ভোট দেওয়ায় বৃদ্ধা মা রুপজান বেওয়াকে (৯০) বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে শাকেত আলীর বিরুদ্ধে। কোন উপায় না পেয়ে বৃদ্ধা আশ্রয় নিয়েছেন পাশে তরফ আলীর বাড়িতে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামে।


জানা যায়, বৃদ্ধার ভোটর হওয়ার পর থেকে নৌকায় ভোট দিয়ে আসছিলেন। সেই মোতাবেক ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধন্দহ-অমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট প্রদান করে। বৃদ্ধা মায়ের ভোট দেওয়ার বিষয়টি ছেলে জানতে পেরে ভোটের দিন সন্ধ্যায় অকথ্য ভাষায় গালিগাজার করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। বৃদ্ধা কোন উপায় না পেয়ে পাশে তরফ আলীর বাড়ির আশ্রয় নিয়েছেন।


মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) বৃদ্ধা রুপজান বেওয়া বিষয়টি জানাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আলম হোসেনের কাছে তার বাড়ির আঙ্গিনায় বাঁশের তৈরী করা মাচানে বসে অভিযোগগুলো করেন। বৃদ্ধার কথা শুনে আলম বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে অবগত করেন। বিষয়টি যাছাই-বাছাই করে বৃদ্ধার জন্য জমি দেখার জন্য বলেছেন বলে আলম হোসেন জানান।


এদিকে ছেলে শাকেত আলী তার বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কখা অশিকার করে বলেন, মাকে নৌকায় ভোট দেওয়ার বিষয়ে কোন কথা বলেনি। বৃদ্ধ হয়ে গেছে, আমার উপর রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছে। তবে দুই/এক দিন পর রাগ কমে গেলে বাড়িতে চলে আসবে।


বৃদ্ধা রুপজান বেওয়া বলেন, ছেলে নৌকায় ভোট দিতে নিষেধ করেছিল। ছেলে নিষেধ না শুনায় আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি সারা জীবন নৌকায় ভোট দিয়ে এসেছি। নৌকা প্রতীক দেখে ছেলের কথা রাখতে পারিনি। তবে যে কয়দিন বেচে আছি, ভোট আসলে নৌকা ছাড়া আর কাউকে ভোট দিতে পারবেন না বলে জানান।


তরফ আলী বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে তার ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে মাগরিব নামাজের পরে আমার বাড়িতে আসেন। তাকে রাতের খাবার খাইয়ে পাশের একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার বাড়িতে দুইদিন থেকে আছে। কথাও থাকার জায়গা না পেলে আমার এখানে খাববে এতে কোন অসুবিধা হবে না। বৃদ্ধ হয়ে গেছে কতো দিনই না বাঁচবে। যতোদিন ইচ্ছা থাকবে কোন সমস্যা নেই। রুপজানের স্বামী হয়রত আলী প্রায় ৩০ বছর আগে মারা গেছে। সেও নৌকার ভক্ত ছিল। নির্বাচন আসেল নৌকার মিছিলে আগে আগে থাকতো।


শেয়ার করুন