রাজশাহী সহ উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়লেও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। দিনভর সুর্যের দেখা না মেলায় কঁনকঁনে শীত অনুভুত হচ্ছে। সাথে যোগ হয়েছে হিমেল হাওয়া। দুই মিলে বিপর্যস্থ্য হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন।
রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে গত কয়েকদিন থেকে দুপুরের আগে দেখা মিলছে না সূর্যের। কখনো সূর্যের দেখা মিললেও তেজ মিলছে না। গত কয়েকদিন থেকে রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
বিশেষ করে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে আরো গেছে। এতে ছিন্নমুল শ্রমজীবি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত বাড়ায় রাজশাহীর মার্কেটগুলোর গরম কাপড়ের দোকানে বেড়েছে কেনাকাটা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, গত শনিবার এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক হেলেন খান বলেন, গত দুইদিন রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও সোমবার তাপমাত্রা বেড়েছে। আকাশ মেঘে ঢেকে থাকার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। মঙ্গলবার থেকে সূর্যের দেখা মিলতে পারে।
এদিকে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীর সরকারী বেসরকারী হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যায় বেশি।