২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:৩৮:১৫ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত: রেকর্ড ৯০,৬৬০ মামলানিষ্পত্তি ৩০ মাসে
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২৪
চট্টগ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত: রেকর্ড ৯০,৬৬০ মামলানিষ্পত্তি ৩০ মাসে

চট্টগ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে গত ৩০ মাসে মামলা হয় ৭৯ হাজার ৩৪৩টি। তবে একই সময়ে আগের মামলাসহ রেকর্ড ৯০ হাজার ৬৬০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সে হিসাবে মামলা করার তুলনায় নিষ্পত্তির হার ১১৫ শতাংশ। চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 


চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২১ সালের জুলাই মাসে ৮টি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোট মামলা ছিল ৪৬ হাজার ৭০৬টি। গত ৩০ মাসে মামলা হয় ৭৯ হাজার ৩৪৩টি। তার সঙ্গে আরও যুক্ত হয় বিভিন্ন আদালতে চলমান মাদকসহ আরও কয়েকটি আইনের ১৯ হাজার ২৩৫টি মামলা। এসব মামলায় একতরফা ৩৭ হাজার ৬৭১টি এবং দুতরফা ২৫ হাজার ৪৪৬টি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। করোনা মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে বিচারকশূন্যতার মধ্যেও এই সময়ে মোট ৯০ হাজার ৬৬০টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। বর্তমানে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬২৪টি।


এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৬টি থানার বিপরীতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আছে ৮টি। এর মধ্যে একটি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, একটি অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ছয়টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আদালত-স্বল্পতার মধ্যেও গত ৩০ মাসে (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৯০ হাজার ৬৬০টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন এসব আদালতের বিচারকেরা।


এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘১৬ থানার ৫৪ হাজার ৬২৪ মামলার ভার মাত্র আট আদালতের ওপর, এটা অস্বাভাবিক। এতসংখ্যক মামলা নিষ্পত্তিতে আদালতের সংখ্যা আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছি। আর মামলা নিষ্পত্তিতে বিচারকেরা যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তা সত্যিই আলাদাভাবে উল্লেখ করার মতো।’ 


অ্যাডভোকেট মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আরও জানান, বর্তমান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. রবিউল আলম মামলাজট নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতি আদালত থেকে মাসে ন্যূনতম এক হাজার সাক্ষীর প্রসেস ইস্যু করা, সরকারি সাক্ষীদের ডাকযোগে প্রসেস পাঠানোর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো, মামলার নির্ধারিত তারিখের আগের দিন চার্জশিটে থাকা সাক্ষীর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এসব উদ্যোগের কারণে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে মামলাজট কমছে।


একই বিষয়ে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুর রশিদ বলেন, ‘মামলার জট কমাতে প্রসিকিউশন আদালতে নিয়মিতভাবে সাক্ষীদের হাজির করা হচ্ছে। মামলাজট কমিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনজীবী ও বিচারক সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’


শেয়ার করুন