মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। মুসলমানদের ঐক্য, দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি, দেশের কল্যাণ, আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বিপদ থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। এ সময় আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
ফজরের নামাজ শেষে চলে হেদায়েতি বয়ান। উর্দু ও আরবিতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। হেদায়েতি বয়ান শেষে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নসিহতমূলক বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। সকাল ৯টা ১ মিনিটে শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জুবায়ের।
মুসল্লিরা যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। এ সময় কান্নায় বুক ভাসান তাঁরা।
মোনাজাতে হাফেজ মাওলানা জুবায়ের প্রথম ১০ মিনিট পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষ ১২ মিনিট দোয়া করেন বাংলা ভাষায়।
আজকের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোররাত ৪টা থেকে লাখ লাখ মুসল্লি পায়ে হেঁটেই টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ কামারপাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করবেন। মাঠ বুঝে নেবে প্রশাসন। পরে ওই দিনই প্রশাসন মাওলানা সাদ অনুসারীদের কাছে ময়দান বুঝিয়ে দেবেন।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বাদ ফজর থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার এবারের আসর।