যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার জানানোর পর বিএনপি এখন কী করবে? তাদের এখন কী বলার আছে? ক্ষমতায় বসানোর জন্য কে আসবে? ক্ষমতা থেকে হটানো বা ক্ষমতায় আসার সহায়তা কে করবে? ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি সোমবার এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে, নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাদের চেষ্টায় কোনো সুফল আসেনি। বিশেষ করে ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকেনি।
মিয়ানমারের প্রতি উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই : সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের প্রতি আর উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। কোনো অবস্থাতেই বাস্তুচ্যুতদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেখান থেকে নতুন কেউ বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রহণ করা হবে না। এ সময় তিনি জানান, মিয়ানমার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটিই তার সরকার ও দলের বক্তব্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয় এ ব্যাপারে কথা বলবে। যতই উসকানি আসুক, আমরা প্রতিক্রিয়া দেব না। ওই দেশ থেকে ছোড়া মর্টার শেল পড়ছে আমাদের সীমান্তে। এরইমধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আবার মিয়ানমার আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে। তাদের নিজেদের সমস্যার কারণে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হব কেন? এতে জাতিসংঘ এবং চীনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট মিয়ানমারের নিজস্ব। তবে তা পাশের দেশের জন্য যাতে আতঙ্কের না হয় এটা তাদেরই দেখতে হবে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, যেহেতু মিয়ানমার চীনের কথা শোনে, তাই তাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে চীনকে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।