২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৫:২৪:০৩ অপরাহ্ন
কবে থেকে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে না, জানাল আবহাওয়া অফিস
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০২-২০২৪
কবে থেকে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে না, জানাল আবহাওয়া অফিস

সাধারণত জানুয়ারিতে দেশে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়। কিন্তু এবার ফেব্রুয়ারির শুরুতেও দেশের অনেক এলাকায় শীতের তীব্রতা আছে। 


আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন দেশের ১৯ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাসের বাকি সময়টাতেও কমবেশি শীতের অনুভূতি থাকবে।


তবে শনিবার থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তাপমাত্রা বাড়বে। একই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের আওতাধীন এলাকাও কমে আসবে।  


আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার সারা দেশেই রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এতে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমবে। 



আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, শনিবারের পর শৈত্যপ্রবাহ আর থাকবে না। তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। তবে দু–একটা জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকতে পারে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলার পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।


দেশে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও চুয়াডাঙ্গায়, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে। কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার অর্থ হচ্ছে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। 


গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলী, রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী, নওগাঁর বদলগাছী, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, দিনাজপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর,


কুড়িগ্রামের রাজারহাট, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গায়। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের রংপুরে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকলেও সেসব এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার তাদের বুলেটিনে (বার্তা) উল্লেখ করেছে।


এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, কোনো অঞ্চলের বড় অংশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলে, পুরো অঞ্চলেই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। 


আর রংপুর ও বগুড়া শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও শহরের বাইরের চিত্র ভিন্ন। সেখানে তাপমাত্রা কম। সে জন্য এসব অঞ্চলকেও শৈত্যপ্রবাহের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার ডিসেম্বরে সারা দেশেই শীতের তীব্রতা তুলনামূলক কম ছিল। ডিসেম্বরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেশি ছিল। কিন্তু জানুয়ারির শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। 


জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। এ ছাড়া গত মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট চার দফায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমনকি দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় একসঙ্গেও শৈত্যপ্রবাহ ছিল কয়েক দিন।



চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের বৃহস্পতিবার থেকে আবার শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১৯ জেলায়। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলো ছাড়া দেশের অন্য এলাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। 


এর মধ্যে ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


শেয়ার করুন