রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া বনলতা আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল তিনটার দিকে নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহাঙ্গীর (২৩), আলম (১৯), রাকিব (১৯), মো: সাজ্জাদ হোসেন (২৬) ও মো: শাওন (২৪)। জাহাঙ্গীর রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়ার মনির উদ্দিনের ছেলে, আলম একই এলাকার মো: কালামের ছেলে, রাকিব মো: শরিফের ছেলে, সাজ্জাদ মো: মুন্নার ছেলে ও শাওন একই থানার উত্তর নওদাপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।
নগর পুলিশ জানায়, নগরীর শাহমখদুম থানার মোড়ে নূর জামানের মুরগির দোকানে গত ১ মার্চ দুপুর পৌনে ১২ টায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হৃদয় মুরগি কিনতে আসে। দোকানে ভিড় থাকায় মুরগি দিতে দেরি হওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং সে মুরগি না নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে দুপুর সোয়া ১২ টায় হৃদয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা লাঠিসোটা নিয়ে দোকানে এসে নূর জামানকে মারপিট করে জখম করে। মারপিট করে তার দোকান থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায় এবং হত্যার হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনায় নূর জামানের দুলাভাই মো: আসাদুজ্জামান শাহমখদুম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মো: জাহিদ হাসান ও তার টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
আজ ৩ মার্চ বিকাল সোয়া ৩ টায় শাহমখদুম থানা পুলিশের ওই দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া বনলতা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে মাঝেমধ্যেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারি করে। এছাড়াও তারা ইভটিজিং, চুরি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।