২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:০২:৩৭ অপরাহ্ন
‘রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারে আনছে সরকার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৪
‘রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারে আনছে সরকার

‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ স্লোগান ধারণ করে এগিয়ে চলছে দেশ। স্বাদু পানি ও চাষের মাছ উৎপাদনে সারা বিশ্বে তৃতীয় হলেও রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে ২১ তম অবস্থানে বাংলাদেশ। সেই অবস্থান শীর্ষে আনতে বঙ্গোপসাগর, কাপ্তাই হ্রদ, হাওর-বাঁওড় ও নদ-নদীর মাছ রান্নার জন্য প্রস্তুত (রেডি টু কুক) বাজারজাত করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। একটি বেসরকারি মাছ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ‘রেডি টু কুক ফিশ’ চলতি মাসেই বাজারে পাওয়া যাবে। এ জন্য যাত্রাবাড়ীর ঢাকা মহানগর আধুনিক মৎস্য বিপণন সুবিধাদি কেন্দ্রের নিচতলায় প্রক্রিয়াকরণের কারখানা স্থাপন করা হবে। 


শিগগিরই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মাসেই ‘রেডি টু কুক ফিশ’ প্রোগ্রাম চালু হবে। মৎস্যমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। 


জানা গেছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকার পরও দেশে কোনো প্রতিষ্ঠানই সেভাবে মাছ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি করছে না। চাহিদার চেয়ে মাছের উৎপাদন বেশি হলেও কেবল চিংড়িই প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে, তাও শুধু রপ্তানির জন্য। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন। 


এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রাজধানীর মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (ক্রয় ও বিপণন) অদ্বৈত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ‘রেডি টু কুক’ মৎস্যপণ্য বাজারজাতসংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়, কর্মব্যস্ত জনসাধারণ বিশেষ করে কর্মজীবী মহিলাদের জীবনযাত্রা সহজ করা এখন সময়ের দাবি। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রান্নার জন্য প্রস্তুতকৃত মাছ (রেডি টু কুক ফিশ) বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের জন্য দিকনির্দেশনা দেন। এরপরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয় বিএফডিসি।


এর আগে বিএফডিসি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একাধিক বার উদ্যোগ নিলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও জনবলসংকটের কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। বিএফডিসির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ‘মা-বাবার দোয়া মৎস্য আড়ত’-এর মালিক সৈয়দ মো. সোহেল আবেদন জানান।


শেয়ার করুন