৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৭:৫০:২৫ অপরাহ্ন
ছবি-ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৪-২০২৪
ছবি-ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় সদ্য বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইসরাত জাহান তনুর মদ্যপান ও ইয়াবা সেবনের কিছু ছবি ও পারিবারিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হয়েছে।

তবে ইসরাত জাহান তনুর দাবি, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিপক্ষ গ্রুপ তার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির ও তথাকথিত কিছু ফেসবুক সাংবাদিক দিয়ে আপত্তির ফেক ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে তার সম্মানহানি করার পাশাপাশি তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এবং অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সংগঠন বিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের দলীয় প্যাডে মুক্তাগাছা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পদ থেকে ইসরাত জাহান তনুকে বহিষ্কার করা হয়। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে তনুর মদ্যপান ও ইয়াবা সেবনের স্থিরচিত্র ও পারিবারিক একটি অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ফেসবুকের সেই ছবি ও ভিডিও যাচাইবাছাই করে দেখা যায়, মদ্যপান ও ইয়াবা সেবনের ছবি দুইটি ফেক এবং ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটি তার সাবেক স্বামীর মোবাইলে ধারণ করা একটি পুরাতন ভিডিও।

ওই যুব মহিলা লীগ নেত্রীর দাবি, তার সাবেক স্বামী খাইরুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে এবং প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন বিভিন্ন সাংবাদিক দিয়ে সামাজিকভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। এবার ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে মোটা অংকের অর্থ দাবি করে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেছেন। তাদেরকে অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসব ফেক ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিকার পেতে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন ইসরাত জাহান তনু। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও আইসিটি আইনে মামলা করার কথাও জানান ওই নেত্রী।

ইসরাত জাহান তনু বলেন, আমার বহিষ্কার হওয়ার পিছনে এবং নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরাতে আমার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। আমাকে ঘায়েল করতে ২০২২ সালের ভারতের একটি ফেসবুকের ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি আমার নামে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ফেক ও ভিত্তিহীন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি এবং আইসিটি আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করেছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাব এবং পদ ফিরে পাব।

শেয়ার করুন