২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০২:১৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৫-২০২৪
অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, অন্যদের কারণে অনেক দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি সামগ্রিক উন্নয়নের পথে সহায়ক হবার পাশাপাশি হুমকি হয়েও উঠতে পারে বলে শঙ্কা তার। প্রযুক্তির সক্ষমতা উন্নত দেশগুলোতে সীমিত না রেখে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নেতারা। গত সোমবার সউদী আরবের রিয়াদে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। যেখানে ৯০টি দেশের প্রায় ১ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈশ্বিক সহযোগিতা, প্রবৃদ্ধি ও জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন দেশের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজ দেশের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত ছিলো। করোনার আগ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিলো। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কৃষি-শিল্প সব খাতে অগ্রগতি হচ্ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারনে অনুমোদনের পরপরই কারনে আমরা করোনার টিকা জোগাড় করতে পেরেছি। করোনার আঘাতও সরকার ভালোভাবে সামলে নিয়েছে। সে সময় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৫ শতাংশ। সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতেই অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যে কারণে পড়তে হয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে। এতে বাংলাদেশের কোনো দায় না থাকলেও ভুগতে হচ্ছে ঠিকই। সালমান এফ রহমান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদেকে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। ১২ বছর অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলেও, হঠাৎ ডলারের বিপরিতে টাকাকে বড় ধরনের অবমূল্যায়নের মুখে পড়তে হয়েছে। যুদ্ধ আমাদের সমস্যায় ফেলেছে কিন্তু এর দায় আমাদের নয়। আলোচনায় গুরুত্ব পায় শিল্প কারখানায় রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার।


এক্ষেত্রে সালমান এফ রহমান আশঙ্কা করে বলেন, অতি মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রযুক্তির সক্ষমতা ভাগাভাগি করলে সুফল পেতে পারে পুরো বিশ্ব। আগামী ৫ বছরে এআই এমন জায়গায় পৌছে যাবে যা আমাদের চিন্তার বাইরে। ভবিষ্যতে মানুষের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। কর্মক্ষেত্রে মানুষকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে। এরই পরিপ্রেক্ষীতে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নতুন ভাবে ডেলে সাজাতে হতে পারে। গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্ল্যাকরক কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ল্যারি ফিংক বলেন, জনসংখ্যার সঠিক ব্যবহারের জন্য দরকার আইনের শাসন ও যথাযথ শিক্ষা ব্যবস্থা। এছাড়াও অধিকাংশ উন্নত দেশের জনসংখ্যা কম হলেও তারা প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যার ঘাটতি পুষিয়ে অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির এই অভূতপূর্ব অগ্রগতির কারণে উন্নত বিশ্বের সাথে অনুন্নত বিশ্বের পার্থক্য আরও প্রকট হচ্ছে। আর বিনিয়োগকারীগণও যেখানে লাভ বেশি সেখানে বিনিয়োগ করছে। বিনিয়োগ সেখানেই যাবে যেখানে রিটার্ন আছে, আছে শক্তিশালী পুঁজিবাজার আছে। উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সময় ল্যারি ফিংক এর সাথে একমত পোষণ করেন। দুইদিন ব্যাপি সউদী আরবের রিয়াদে আয়োজন করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম। যেখানে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, ব্ল্যাকরক কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ল্যারি ফিংক, ওলাইয়ান ফিন্যান্সিং কোম্পানির কোম্পানির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান লুবনা এস. ওলাইয়ান এবং জেনারেল অ্যাটলান্টিক এর চেয়ারম্যান ও সিইও উইলিয়াম ফোর্ড।


শেয়ার করুন