০৭ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ০৭:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন
পরনের কাপড় ছাড়া নদীতে ভেসে গেছে সবই
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৪
পরনের কাপড় ছাড়া নদীতে ভেসে গেছে সবই

আমাগে কোনো কাপড় চোপড়ই নেই। সব কাপড় খেতা যেহানে যা ছিল সব নদীতে ভাইসা গেছে।

এখন পরার কোন বস্ত্রই নাই। এখন কি পরবো আমরা। মহিলা মানুষ আমাদের তো লজ্জা সরম আছে। কিন্তু আমাগে তো কিছু থাকছে না। ’

শনিবার (১ জুন) সকালে কান্না জড়িত কণ্ঠে খুলনার বটিয়াঘাটার কাজীবাছা নদীর পাড়ের ডেউয়াতলা গ্রামের বাসিন্দা মিলন মোল্লার স্ত্রী রিনা বেগম কাছে ঘূর্ণিঝড় রিমালে তাদের ক্ষয়-ক্ষতির বর্ণনা দেন এভাবে।

দীর্ঘশ্বাস নিয়ে রিনা বেগম বলেন, ‘বাচ্চারা ক্ষুধার জ্বালায় কান্নাকাটি করে। সেই যন্ত্রণা অস্থির করে তোলে আমাগে। কিন্তু কিছুই করার নেই। ঘরে খাবারও তেমন কিছু নেই। ’

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ঘর বাড়ি ভেঙে যাওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বাতাস ও তীব্র পানির স্রোত নদীর পাড়ের ঘরে এসে লেগে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। থাল বাটি সব নদীতে ভাসাই নিয়ে গেছে। ‘আমাগে অবস্থা খুব খারাপ। আপনারা সবাই যদি আমাগে একটু পাশে থাকেন তাহলে বাঁচবো। না হলে বাঁচার কোনো লাইন নেই। চাল নেই ঘরে, খাবারও কিছুই নেই। না খাইয়ে আছি। এর চেয়ে মরা ভালো। আমাগে জায়গা নেই জমি নেই। মাইনষের তো গরু ছাগল থাহে। আমাগে তাও নেই। আমরা খুব অসহায়। ছোট বাচ্চা নিয়ে রাত দিন খুব কষ্টে রয়েছি। থাকার জায়গা নেই আমাগে। এখন কি করবো। ’

নিজেদের দুরবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে রিনা বেগম বলেন, ঝড়ে বড় ঘর পড়ে গেছে। বাথরুম নেই। থাকার জায়গা নেই। আমরা খুব গরিব মানুষ। একটু কৃষিকাজ ছাড়া কিছুই নেই। তাতে আমাদের সংসার চলে না।

হতদরিদ্র শ্রমিক মিলন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, আমার দুটি ছেলে। এর মধ্যে একটি প্রতিবন্ধী। ঝড়ের পর কাজ কাম নেই। ওদের মুখে ভাত তুলে দিতে পারছি না। কেউ আমাদের কোন সাহায্য করছে না। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।

বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বৃহস্পতিবার ডেউয়াতলা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ বাকি থাকে তাদেরকে ত্রাণ দিতে চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি।

শেয়ার করুন