০২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৪৩:২৫ অপরাহ্ন
প্রণোদনা হ্রাসে চ্যালেঞ্জের মুখে রপ্তানি খাত
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৭-২০২৪
প্রণোদনা হ্রাসে চ্যালেঞ্জের মুখে রপ্তানি খাত

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসাবে রপ্তানি খাতে প্রণোদনা সর্বনিæ ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। এতে অনেক খাতের প্রণোদনা কমেছে অর্ধেক। হ্রাসের এই হার আজ ১ জুলাই থেকে  কার্যকর হবে। আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। 

এদিকে রপ্তানিকারকরা বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দা ও দেশীয় অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রণোদনা অর্ধেক কমানোর ফলে রপ্তানি খাত বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এমন কি দেশের রপ্তানি বাজার অন্য দেশেও চলে যতে পারে বলে তারা সতর্ক করেছেন। প্রণোদনা কমালে বিকল্প নীতি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন তারা।

রোববার রপ্তানির বিভিন্ন খাতে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তা বা প্রণোদনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়। এতে দেখা যায়, সরকার রপ্তানির ৪৩টি খাতে বিভিন্ন হারে প্রণোদনা প্রদান করে। সব খাতেই প্রণোদনার হার কমানো হয়েছে। এর মধ্যে পোশাক খাতে সবচেয়ে বেশি প্রণোদনা দেওয়া হয়। এ খাতে প্রণোদনা কমানো হয়েছে অর্ধেক। কৃষি ও চামড়া খাতেও প্রণোদনা কমানো হয়েছে। এর আগে ১২ ফেব্র“য়ারি প্রণোদনার হার আরও একদফা কমানো হয়েছিল। ৫ মাসের ব্যবধানে প্রণোদনা আরও কমানো হলো।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হবে। ওই তালিকা থেকে বের হলে রপ্তানি খাতে কোনো প্রণোদনা দেওয়া যাবে না। এ কারণে আগে থেকেই রপ্তানি খাতে প্রণোদনার হার কমানো হচ্ছে। যাতে ২০২৬ সালের মধ্যে রপ্তানি খাত প্রণোদনা ছাড়াই স্বনির্ভর হতে পারে। এছাড়া আইএমএফের শর্ত রয়েছে রপ্তানিতেও প্রণোদনা কমানোর জন্য। সব মিলে সরকার প্রণোদনা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো প্রতিবেদনের আলোকে তারা এ সার্কুলার জারি করেছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে একদফা প্রণোদনা কমানো হয়েছে। এখন আরও কমানো হলো। দুই দফায় প্রণোদনা কমানোর পর রপ্তানি খাত বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এমনিতেই সুদের হার, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। তারপর বৈশ্বিক মন্দা তো আছেই। এত প্রতিক‚ল অবস্থায় প্রণোদনা কমানো ভালো লক্ষণ নয়।

শেয়ার করুন