চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (সোমবার) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুল শাহানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় বিমানটি প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন সফরকালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন খাতে ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি খাত।
তিনি, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে যাবে। উল্লেখ্য, গত চার বছরে চীন থেকে বাংলাদেশ তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ সাত বিলিয়ন ডলার।
অর্থমন্ত্রী আবুল আহসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটো, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অন্যান্য সচিবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হবেন।