০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৯:৩৯:৫১ পূর্বাহ্ন
আইএসের সাবেক নেতা বাগদাদির স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৭-২০২৪
আইএসের সাবেক নেতা বাগদাদির স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রয়াত নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরাকের একটি আদালত। বুধবার ইরাকের বিচার বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে।


ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে কাজ করা এবং ইয়াজিদি নারীদেরকে তার বাড়িতে আটকে রাখার জন্য বাগদাদির স্ত্রীকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তার নাম প্রকাশ করেনি বিচার বিভাগ।


ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল জানিয়েছে, ইয়াজিদি নারীদের নিনেভেহ গভর্নরেটের পশ্চিমে সিনজার জেলায় ইসলামিক স্টেটের সদস্যরা অপহরণ করেছিল। পরে তাদের মসুলে বাগদাদির স্ত্রীর বাড়িতে বন্দি রাখা হয়েছিল।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আদালতের এক জন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ফৌজদারি আদালত আজ বাগদাদির স্ত্রীকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ইয়াজিদি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও সন্ত্রাসী সহযোগিতার জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।’ অবশ্য দণ্ড কার্যকরের জন্য রায়ে ইরাকি আপিল আদালতের অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


২০১৪ সালে আবু বকর আল-বাগদাদিকে ইসলামিক স্টেট ইরাকের বিস্তৃত অঞ্চলে খলিফা হিসাবে ঘোষণা দেয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর একটি অভিযানে নিহত হন তিনি।


উম্মে হুজাইফা, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রয়াত নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির প্রথম স্ত্রী। আবু বকর আল-বাগদাদি যখন তাকে বিয়ে করেন, সে সময় সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল এলাকায় আইএস-এর শাসনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।


এই মুহূর্তে ইরাকের এক জেলে বন্দি রয়েছেন উম্মে হুজাইফা। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার হচ্ছে তার।


বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আবু বকর আল-বাগদাদি এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য লুকিয়ে ছিলেন।


এই অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি আত্মহত্যা করেন। সেই সময় বিস্ফোরণে তার সন্তানরাও মারা যায়। অন্যদিকে, আবু বকর আল-বাগদাদির চার স্ত্রীর মধ্যে দুই স্ত্রীর মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ হয়ে।


ওই ঘটনার সময় উম্মে হুজাইফা সেখানে ছিলেন না। ওই সময় তিনি তুরস্কের একটা কারাগারে ছিলেন। ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে তুরস্কে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


পরে তাকে ইরাকে নিয়ে আসা হয়, সেখানে আইএস সংগঠনে তার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলে।


বড় মেয়ে উমাইমা তারই সঙ্গে কারাগারে রয়েছেন এবং ১২ বছরের আরেক মেয়ে ফাতিমাকে রাখা হয়েছে শিশুদের জন্য তৈরি একটি কেন্দ্রে।


উম্মে হুজাইফার এক ছেলের মৃত্যু হয় স্বামী আবু বকর আল-বাগদাদির সঙ্গে এবং অন্যজনের মৃত্যু হয় সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলায়। ছোট ছেলে একটা অনাথালয়ে থাকে।


শেয়ার করুন