সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানীর প্রগতি সরণির নতুন বাজারসহ আশপাশের এলাকা। সোমবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে শুরু হয় ভয়াবহ যানজট। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাবে কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর সড়কেও তীব্র যানজট তৈরি হয়। এ অবস্থায় বাড্ডা-রামপুরা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত কর্মব্যস্ত যাত্রীদের যানজট মাড়িয়ে চলাচলে নাকাল হতে দেখা গেছে। তীব্র গরমে নারী ও শিশুদের পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার তাদের এ আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে রাস্তায় নামেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ফলে রাজধানীর প্রগতি সরণির নতুন বাজার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দুপুরের পর থেকে কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর সড়কেও যানজট দেখা যায়। ভয়াবহ যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে প্রগতি সরণি পুরো করিডর এবং সংযোগ সড়কগুলোও।
দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সরণির নতুন বাজার ও কুড়িল এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। এতে কুড়িল-রামপুরা সড়কে তীব্র যানজটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, নতুন বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে দুইপাশের রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। সড়কে শত শত যানবাহন আটকে রয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নতুন বাজার এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
পুলিশের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এছাড়া কুড়িল চৌরাস্তায় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের কারণে কুড়িল থেকে বিমানবন্দরগামী সড়ক ও কুড়িল থেকে রামপুরাগামী সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। যানজটে স্থবির রাস্তায় বাধ্য হয়ে অনেককে যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা জানান, বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরুর পর আমরা তাদের সড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা অনড় ছিলেন। বিকাল চারটার পর তারা কর্মসূচি শেষ করে সড়ক থেকে সরে গেছেন।