প্রায় দুই মাস বাকি ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে। কিন্তু বাংলাদেশে বিশ্বকাপের আমেজটা যেন খুব দ্রুতই উন্মাদনায় রূপ নিল। লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলগুলো। এর মধ্যেই বিশ্বকাপের ট্রফি ভ্রমণ করছে বিভিন্ন দেশ। গতকাল রাতে এল বাংলাদেশেও। আর এসেই যেন সমর্থকদের মনে বাড়তি উন্মাদনা যোগ করে দিয়েছে।
আইসিসি ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ঘুরে এখন বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে থাকবে তিন দিন। কিন্তু এতেই যেন এক ক্রিকেট সমর্থকের ঘোর আপত্তি! বললেন, ‘বাংলাদেশই আগামী চার বছর ট্রফিটা রাখবে’। আজ বিকেলে আইকনিক লোকেশন পদ্মা সেতুতে বিশ্বকাপ ট্রফির ফটোসেশন হয়েছে। ফটোসেশনের পরই এক সমর্থক সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন এটি।
হেলিকপ্টারে পদ্মা সেতুতে নেওয়ার কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সড়কপথেই গিয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি। মাওয়া অংশের পদ্মার পাড়ে সেতু থেকে কয়েক গজ দূরে রেখেই হলো ট্রফির প্রাথমিক ফটোসেশন। খবর পেয়ে এর আগে সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করছিলেন সমর্থকেরা।
মাঠের মতোই লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে পদ্মার পাড়ে অপেক্ষা করছিলেন সমর্থকেরা। বাঘের সিম্বল নিয়ে ছিলেন টাইগার শোয়েবও। প্রাথমিক ফটোসেশনের পরই পদ্মা পাড়ে শুরু হয় বিশ্বকাপ উন্মাদনা। এর মধ্যেই পরিচিত সমর্থক মুখ শোয়েবের কাছে অনুভূতি জানতে চায় সাংবাদিকেরা।
তাতে শোয়েব যেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার চেয়েও বড় স্বপ্নের কথা জানালেন। প্রশ্ন রেখেই শোয়েব বললেন, ‘এই ট্রফি কার?’ । নিজেই আবার উত্তর দিলেন, ‘এই ট্রফি বাংলাদেশের, এই ট্রফি কার? এই ট্রফি সাকিব আল হাসানের, এই ট্রফি বাংলাদেশের ১১ জনের, এই ট্রফি পদ্মা সেতুর, এই ট্রফি বাংলাদেশর। ২০২৩ সালে (এই বিশ্বকাপ) বাংলাদেশের হবে ইনশা আল্লাহ।’
মাশরাফি বিন মুর্তজা কথায়ও একটু ফেরা যাক। ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় ওই বছরের ২৯ অক্টোবর সাকিব আল হাসানকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। ওই দিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে দূরদর্শী মাশরাফি জানিয়েছিলেন, সাকিবের নেতৃত্বে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।
ঠিক এ মুহূর্তে বাংলাদেশের পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়ক কে হবেন–সেটি সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনায় বোর্ড কর্মকর্তা, ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সাবেক ক্রিকেটারদের বড় অংশই সাকিবকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন। যদি শেষ পর্যন্ত সাকিবকেই অধিনায়ক করা হয়, তাহলে মাশরাফি হয়তো ‘গণকের’ তকমাও পেয়ে যাবেন!