২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:২৪:১০ পূর্বাহ্ন
ফুল কোর্ট সভা কী? প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করলেন কেন?
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২৪
ফুল কোর্ট সভা কী? প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করলেন কেন?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আল্টিমেটামের মুখে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার সকালে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি। তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রবল প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সেই সভা বাতিল করা হয়। খবর বিবিসি বাংলার। 


এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ‌‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যায়িত করে পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ যিনি বর্তমানে সরকারের একজন উপদেষ্টাও।


সকালে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ঢল নামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।


এই প্রেক্ষাপটে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।


তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট ও অন্যান্য নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’


ফুল কোর্ট সভা কী? কেন ডাকা হয়?


সুপ্রিম কোর্টকে বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক এবং ব্যাখ্যাকারী বলা হয়। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ স্তর এই সুপ্রিম কোর্ট।


আর, প্রধান বিচারপতিই বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের সর্বোচ্চ এ আদালতে দুইটি বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ দুটি বিভাগ হলো আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ।


এই দুই বিভাগের সকল বিচারপতির অংশগ্রহণে যে সভা অনুষ্ঠিত হয় তাকেই ‘ফুল কোর্ট’ সভা বলা বলা হয়।


বিচার বিভাগের প্রধান নির্বাহী হিসেবে এই সভা আহ্বানের এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির। এতদিন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগে মোট ৯০ জন বিচারপতি ছিলেন।


এর মধ্যে আপিল বিভাগে সাতজন এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৮৩ জন বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।


'ফুল কোর্ট' বৈঠকে বিচার বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।


অনেক সময় জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও এ সভা আহ্বান করা হয়ে থাকে।


তবে, শনিবার ডাকা ফুল কোর্ট সভার ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল যে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা’ করতেই ফুল কোর্ট সভা আহ্বান করা হয়েছিল।


শেয়ার করুন