১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
নির্বাচন ব্যবস্থা, দুদক ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে যা বললেন কমিশন প্রধানরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৯-২০২৪
নির্বাচন ব্যবস্থা, দুদক ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে যা বললেন কমিশন প্রধানরা

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রসংস্কারের দাবি ক্রমশ জোরালো হয়ে ওঠে। সেই প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সংস্কারে ছয় বিশিষ্ট নাগরিককে দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।


সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত কমিশনগুলোতে যাদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তাদের প্রায় সবাইকেই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর নানা ইস্যুতে আগে থেকেই সরব দেখা গেছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ফলে তাদের কর্মপরিধি ও প্রক্রিয়া কী হবে তাও এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, সংস্কারের ব্যাপারে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন তারা।


জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশনের প্রধান হিসেবে যাদের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলেছেন তারা হলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার দায়িত্বে বদিউল আলম মজুমদার; পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে সফর রাজ হোসেন; বিচার বিভাগের দায়িত্বে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান; দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্বে ইফতেখারুজ্জামান; জনপ্রশাসনের দায়িত্বে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধানের দায়িত্বে শাহদীন মালিক।


কমিশন প্রধানরা অক্টোবরের প্রথমদিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবেন।


নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক


বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই বিতর্ক ছিল তুঙ্গে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ঘুরেফিরে এসেছে বিভিন্ন অভিযোগ। নির্বাচনের আয়োজক নির্বাচন কমিশনগুলোর ভূমিকা নিয়েও তাই সমালোচনা আছে।


বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। এবার সেই নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলো তাকেই।


নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সর্বজন গ্রহণযোগ্য কোনোদিনই সম্ভব নয়। এটা ইউটোপিয়ান (কাল্পনিক)। কিন্তু, সবার মতামতের ভিত্তিতে একটা কনসেনসাস(মতৈক্য) যদি দাঁড় করানো যায়, সেটিই হবে কাঙ্ক্ষিত।’


তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সম্মতির শাসন যদি প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে যত ক্ষেত্রে যত সংস্কারই করা হোক না কেন, কোনোটাই টেকসই হবে না।’

শেয়ার করুন