টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাবা সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। দাদু স্বাধীনতা সংগ্রামী। লড়াই আর স্বাধীনতা আমার রক্তে মিশে আছে। তিনি বলেন, ‘আমি নারী, আমি চাইলেই সব পারি’। মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজোর সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনে শেয়ার করে তিনি এ কথা বলেন।
সূত্র জানায়, পুজোর আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দিন। এ দিন আনন্দবাজার অনলাইনে প্রথম প্রকাশ পেল বাঘাযতীন তরুণ সংঘের ‘পুজোর মুখ’। বড় পর্দার ‘দেবী চৌধুরাণী’ এ বছর পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে উদ্যাপনে শামিল। এ বছর বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পুজোর ৭৫ বছর। ভাবনায় নারীশক্তির উত্থান। পুজো কমিটির অন্যতম সম্পাদক ও চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, শ্রাবন্তী আর নারী স্বাধীনতা সমার্থক। আজন্ম নিজের জোরে নিজেকে খ্যাতির শীর্ষে তুলে নিয়ে গেছেন তিনি। তাই তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। একই বক্তব্য শ্রাবন্তীরও। তিনি বলেছেন, যা করেছি নিজের জোরে। এখনো লড়াই করে চলেছি। বাবা সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। দাদু স্বাধীনতা সংগ্রামী। লড়াই আর স্বাধীনতা আমার রক্তে মিশে আছে।
পুজোর উদ্যোক্তারা তাদের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পোস্টার প্রকাশ করেছেন আনন্দবাজার অনলাইনে। পোস্টারে নারীর চিরন্তন সাজে শ্রাবন্তী। লাল পাড় সাদা শাড়ি আর গহনায় সেজে ওঠা অভিনেত্রী খাঁচা খুলে মুক্তি দিচ্ছেন বন্দি পাখিকে। এ ভাবনাকে তথাগত এবং তার সহকর্মীরা নাম দিয়েছেন— ‘ইচ্ছে ডানা’। পোস্টারের কথা তুলতেই শ্রাবন্তী বলেন, সমাজের অদৃশ্য শৃঙ্খলে এভাবেই যুগের পর যুগ বন্দি নারী। কিন্তু আর কত দিন বন্দি থাকবে? আমার ভাবনা পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মিলে যেতেই ‘হ্যাঁ’ বলতে সময় নিইনি।
শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সরায় দুর্গাপ্রতিমার আদল ফুটিয়ে তুলছেন। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলফ হেল্প গ্রুপ’-এর সদস্যদের নানা ধরনের হাতের কাজ মণ্ডপসজ্জায় জায়গা করে নিচ্ছে নানা শিল্পীর হাতের কাজ, যা ফুটিয়ে তুলবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীশক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। পুজোর তত্ত্বাবধানে শাসক দলের কাউন্সিলর-সভাপতি সীমা ঘোষ, চেয়ারম্যান তন্ময় ঘোষ ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক দেবব্রত মজুমদার।
পুজোয় একটি দিন বাঘাযতীন তরুণ সঙ্ঘে কাটাবেন, জানালেন ‘পুজোর মুখ’ শ্রাবন্তী। একুশের নারীকে কী বার্তা দেবেন? এ অভিনেত্রী বলেন, শারীরিক দিক থেকে হয়তো আমরা পুরুষের সমকক্ষ নই। কিন্তু মানসিক দিক থেকে আমরাই এগিয়ে। শ্রাবন্তী বলেন, নারী চাইলে সব পারে। মেয়ে, মা, বোন, স্ত্রী, প্রেমিকা— নানা রূপে আত্মপ্রকাশ তার। প্রকৃত অর্থেই দশভুজা। তিনি বলেন, পাশাপাশি পুরুষকেও মনে রাখতে হবে, তারা নারীর গর্ভজাত। নারী তাই সম্মাননীয়। তাকে সম্মান দেওয়া মানে প্রকৃতি ও সৃষ্টির সম্মান করা।