২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:১১:৫১ অপরাহ্ন
নভেম্বরে হতে পারে ইউনূস-মোদি বৈঠক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১০-২০২৪
নভেম্বরে হতে পারে ইউনূস-মোদি বৈঠক

নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী মাসে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় দুই নেতার প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে সময়সূচির অমিলের কারণে দুই সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠক হয়নি।


নিউইয়র্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, না, তার সঙ্গে ওই প্রসঙ্গে আমার কথা হয়নি। কেননা আমার কাছে মনে হয়েছে, এগুলোর চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক আলোচনা আছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত। আমি তাই করেছি। তিনি আরও বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে যে, আমাদের দুদেশের সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।


ভিসা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, তারা ভিসা নিয়ে কথা বলেছেন। এখন মেডিকেল ভিসা চালু আছে। ভিসা দেওয়ায় অনেকে ভারতে চলে গেছেন। তারা আশা করছেন, কিছুদিনের মধ্যে সব ভিসা চালু হয়ে যাবে। হয়তো বেশিদিন লাগবে না। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথাবার্তা হয়েছে। আমরা বলেছি, প্রথম অবস্থায় সরকার ছিল না কিছুদিন। পুলিশ ছিল না অনেক দিন। এগুলোর কারণে নিরাপত্তায় কিছু সমস্যা হয়েছে, এটা আমরা স্বীকার করি। এখন পুলিশ অনেকাংশে ফিরে এসেছে। সেনাবাহিনী এখনও আছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে ইদানীং বিদেশি কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অনেক দেশ এখনও ভিসা দেওয়া পুরোপুরি শুরু করেনি, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কবে দেশগুলো ভিসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করবে এটি আমি বলতে পারব না। আজ ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের কাছে ৬০ হাজার পাসপোর্ট সম্ভবত আটকে আছে। তিনি নিজেও এ বিষয়ে লজ্জিত। তিনি আমাকে বলেছেন যে তারা অতিরিক্ত অফিসার নিয়োগ করছেন যাতে করে পাসপোর্টগুলোর সিদ্ধান্ত দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রদূতদের যখন কথা হচ্ছে। তাদেরও আমরা বলছি ভিসা কার্যক্রমে আরও গতি আনার জন্য। একটি বিষয় হচ্ছে, ভিসা হচ্ছে একটি সার্বভৌম অধিকার। কাকে ভিসা দেবে, কতটুকু দেবে এটি তাদের নিজস্ব এখতিয়ার।

শেয়ার করুন