চালুর একদিন পরই বন্ধ হয়ে গেল ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’। কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে বুধবার ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল। অন্তত তিন দিন ট্রেনটি চলার কথা ছিল। কিন্তু পশু পরিবহনে বুকিং হয়নি বলে দ্বিতীয় দিনই ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গেছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন ট্রেনটি মোট ৪০টি গরু ও ১৬১টি ছাগল পরিবহন করে। এতে ভাড়া উঠে আসে ৪২ হাজার ১২০ টাকা। ট্রেনটি পরিচালনায় খরচ হয় এর প্রায় দ্বিগুণ। তারপরও খামারী ও ব্যবসায়ীদের সেবায় ট্রেনটি চালানোর কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের জন্য কোন বুকিং না থাকায় যাত্রা বাতিল করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এই ট্রেনে পশু নিয়ে যেতে হলে আগের দিনই বুকিং দিতে হয়। কেউ পশু নিতে চাইলে খামারী বা ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার ৮৩০ টাকায় পুরো একটি ওয়াগন বুকিং দিতে হয়। প্রথম দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৮টি গরু ও ৪টি ছাগল ওঠে ট্রেনে। কিন্তু পরের দিনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি ওয়াগনও বুকিং হয়নি।
তাই পশ্চিম রেলের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার আর ট্রেন পাঠাননি। রুটিন অনুযায়ী বিকালে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরুর কথা ছিল। ওবায়দুল্লাহ আরও জানান, শুক্রবারের জন্যও বৃহস্পতিবার কোন ওয়াগন বুকিং হয়নি। তাই ট্রেনটি আর চলার সম্ভাবনা নেই। এ বছর একদিন পরই থেমে গেল ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন।
এর আগে গতবছর ঈদুল আযহার আগে প্রথমবারের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু হয়। গত বছরের ১৭ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলেছিল ট্রেনটি। এবার এই ট্রেনে ওয়াগন ছিল ৫টি। প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি গরু পরিবহন করা যেত। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রতিটি গরুর জন্য ভাড়া পড়ত ৫৯১ টাকা।
সড়কপথের চেয়ে ট্রেনে নির্বিঘ্নে পশু পরিবহন হলেও গরু-ছাগল স্টেশনে নিয়ে ট্রেনে তোলা, আবার স্টেশন থেকে নামিয়ে ট্রাকে করে হাটে নিয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনার কারণে খামারী ও ব্যবসায়ীদের ট্রেনটিতে আগ্রহ দেখা গেল না। পরিবহনের জন্য তাদের ট্রাকই পছন্দ।