আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের জবাবে ২ উইকেটে ১২০ রান জমা করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। নিশ্চিত জয়ের পথেই ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে এরপর শান্ত ৪৭ রানে মোহাম্মদ নবীর বলে ফিরতেই সব এলোমেলো। ২৩ রানের ব্যবধানে পরের ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরেছে ৯২ রানের বড় ব্যবধানে। ব্যাটারদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে বাকিদের দায় না দিয়ে বরং দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত।
অথচ বল হাতে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৭১ রানের মধ্যে আফগানদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাশমতউল্লাহ শহীদি ও মোহাম্মদ নবীর ১২২ বলে ১০৪ রানের জুটিতে লড়াইয়ের ভিত পায় আফগানরা। যা করে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে আফগান ব্যাটসম্যানদের তাই কৃতিত্ব দিলেন শান্ত। বলেন, ‘প্রথম ১৫–২০ ওভার আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় নিজেদের পরিকল্পনা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। নবী দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমাদের খুব বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। উইকেট বোলারদের যথেষ্ট সহায়তা করেছে। কিন্তু শহীদি ও নবী খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে।’
আফগানদের ২৩৫ রানের জবাবে দারুণ শুরু করা বাংলাদেশ মাঝে পথ হারায় গজনফরের ঘূর্ণিতে। আফগানিস্তানকে কোনো চ্যালেঞ্জ না দিয়েই অসহায় আত্মসমর্পণ করেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। তবে দায়টা তাদের ওপর না চাপিয়ে নিজের কাঁধেই নিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত!
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বলেন, ‘আমার উইকেটটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি থিতু ব্যাটসম্যান ছিলাম, আমার ইনিংস আরও লম্বা হওয়া উচিত ছিল। আফগানিস্তানের সব সময় রহস্য স্পিনার থাকে। আজ সেও (গজনফর) খুব ভালো বোলিং করেছে। আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। কিন্তু দিনটা আমাদের ছিল না। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’