ভারত বিরোধিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তার অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহাবস্থানের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষে তিনি।
ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এ কথা ‘সর্বজনবিদিত’, জামায়াত বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী রাজনীতি করে। তবে এই বিষয়টি অস্বীকার করলেন জামায়াত আমির।
ভারত বিরোধিতার অভিযোগ নিয়ে শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর ভারত-বিরোধিতার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিশানা করে এই ধারণা ছড়ানো হয়েছে। আমরা চাই ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহাবস্থানের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রাখতে।
ভারত-পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের আদলে ইসলামী দল রয়েছে। এসব দলগুলোর সঙ্গে জামায়াত মতাদর্শগত মিল রয়েছে। তবে জামায়াতের কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনের শাখা নই।
জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জামায়াত একটি আধুনিক, উদার ও গণতান্ত্রিক দল, যার ভিত্তি ইসলামি আদর্শ। আমাদের রাজনৈতিক নীতিগুলো যুক্তিগ্রাহ্য ও মধ্যপন্থি। আমরা কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠনের অংশ নই।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, জামায়াত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুভিত্তিক বিভাজনে বিশ্বাস করে না। আমরা প্রত্যেক নাগরিককে সমান মর্যাদায় দেখি এবং সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।
সরকারে এলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কেমন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, তবে তা হতে হবে পারস্পরিক সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে। বাস্তবোচিত ও কার্যকর সম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।