২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৪:৫৩:৪২ অপরাহ্ন
৬ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ প্রয়োজন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১১-২০২৪
৬ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ প্রয়োজন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ২৫৭টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে সিদ্ধান্তহীনতা কাটছে না। চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ অনুসন্ধানের জন্য এসব প্রকল্পে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু এই সরকার এসে কি করবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বা কমিশন এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা পায়নি। কাজেই প্রকল্পগুলোর বিষয়ে নতুন করে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের কাছে ঋণ চাইতে দ্বিধায় ভুগছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।


সোমবার (২৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব প্রকল্পসহ সার্বিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নিয়ে নতুন নির্দেশনা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুটি একনেক গণভবনে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বসছে একনেক বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

নতুন প্রকল্পগুলোতে ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, জাইকা, চীন, ভারত, রাশিয়াসহ বিভিন্ন প্রচলিত এবং অপ্রচলিত উন্নয়ন সহযোগীর খোঁজ করার লক্ষ্য ছিল গত সরকারের।


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইআরডির সাবেক সচিব কাজী শফিকুল আযম শনিবার যুগান্তরকে বলেন, যে কোনো একটা পরিবর্তন আসলে সব কিছুতেই তার প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রেও রাজনৈতিক বিবেচনায় অগ্রাধিকার দেওয়া প্রকল্প থাকলে দ্রুত যাচাই করা দরকার। তবে সব প্রকল্পই যে রাজনৈতিক বিবেচনায় হবে বিষয়টা সেরকম নাও হতে পারে। এসব প্রকল্পের তালিকা অর্থবছরের শুরুতেই উন্নয়ন সহযোগীদেরও দেওয়া হয়ে থাকে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।


আমাদের যেহেতু বৈদেশিক অর্থের চাহিদা আছে, বৈদেশিক অর্থছাড়ও বাড়ানো প্রয়োজন। সরকারও বলছে বৈদেশিক ঋণ নির্ভর প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেহেতু এ নিয়ে যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় ততই ভালো। এতে উন্নয়ন সহযোগীদেরও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। সংশোধিত এডিপিতে হয়তো এটা ঠিক করা হবে। কিন্তু এর আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উচিত সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া।


শেয়ার করুন