২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১১:৩০:০২ পূর্বাহ্ন
তাইওয়ান সীমান্তের কাছে চীনা বেলুন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১১-২০২৪
তাইওয়ান সীমান্তের কাছে চীনা বেলুন

তাইওয়ান বলেছে, তারা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে পানির উপর একটি চীনা বেলুন শনাক্ত করেছে। এপ্রিলের পর থেকে প্রথম এমন বেলুন দেখা গেছে। বেইজিং তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের ওপর চীনের দাবি মেনে নেয়ার জন্য তাইপের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।


কমিউনিস্ট চীন গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে এবং এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগ ত্যাগ করতে অস্বীকার করেছে।


সামরিক চাপ অব্যাহত রাখতে বেইজিং নিয়মিতভাবে তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং যুদ্ধজাহাজ, মাঝে মাঝে বেলুন মোতায়েন করে।


তাইওয়ানের আশেপাশে চীনের সামরিক উপস্থিতির দৈনিক তথ্য প্রকাশকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে কিলুং শহর থেকে ১১১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ১০ হাজার ৫৮ মিটার উচ্চতায় সর্বশেষ বেলুনটি দেখা যায়।


জাহাজটি দ্বীপটির বিমান প্রতিরক্ষা সনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করে রাত সোয়া ৮টার দিকে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।


বেলুনের পাশাপাশি সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের আশেপাশে ১২টি চীনা সামরিক বিমান ও সাতটি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করা হয়। সোমবার মন্ত্রণালয় একথা জানায়।


জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে তাইওয়ান ও চীনকে বিভক্তকারী স্পর্শকাতর জলসীমা অতিক্রম করে বেলুন উড়েছে।


তাইওয়ান বেলুনগুলোকে ‘গ্রে জোন’ হয়রানির একটি রূপ হিসেবে অভিহিত করেছে।


এর আগে তাইওয়ানের ওপর বেলুন পাঠানোর অভিযোগ প্রত্যাহার করে চীন অভিযোগ করেছিল, তাইপে মূল ভূখণ্ডের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।


২০২৩ সালের গোড়ার দিকে চীন থেকে আসা বেলুনগুলো রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে, সেসময় যুক্তরাষ্ট্র একটি গুপ্তচর বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করে।


বিশাল আকারের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী বহনকারী বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র বেইজিং গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে। বেইজিং বলছে, এটি একটি পথভ্রষ্ট বেসামরিক বিমান ছিল।


শেয়ার করুন