দেশের বাইরে এমটা প্রায়শই দেখা যায়। কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে সম্মান জানিয়ে তাদের জার্সি নাম্বার আজীবনের জন্য তুলে রাখা হয়। কিংবদন্তির জার্সি নাম্বার গায়ে জড়াতে পারেন না কোনো ক্রিকেটার। এবার সেই রীতি বাংলাদেশেও চালুর পক্ষে নির্বাচক হান্নান সরকার।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিশেষ অবদান রাখায় ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে পরিচিত মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জার্সিটিও নিজেদের সংগ্রহে রাখার পক্ষে তিনি। এই ক্রিকেটারদের জার্সি নাম্বারগুলো আইকনিক হিসেবে আর কাউকে দিতে চান না তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডবের অবদানের কথা জানিয়ে নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এই মতামত তুলে ধরেছেন হান্নান। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমার একটা ইচ্ছা যে এমনটা করা যায় কি না। এটা আসলে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যারা রয়েছেন, বোর্ডের সঙ্গে রয়েছেন, সবাই মিলে চিন্তা করতে পারি, এটা আমার ব্যক্তিগতভাবে নিজের জায়গা থেকে চিন্তা করা। এই পাঁচজনের জার্সি নম্বরটা তাদের অর্জনকে মূল্যায়ন করে আলাদাভাবে রেখে দিতে পারি। এই জার্সি নম্বরগুলো হয়তোবা বাংলাদেশের নতুন কোনো ক্রিকেটারকে না দিয়ে তুলে রেখে দিলাম।’
সাকিব-তামিমদের প্রশংসা করে হান্নান বলেন, ‘আমরা যদি দেখি মিডিয়া বা সবার মধ্যে একটা হাইপ আপনাদের মাধ্যমে জানা যে ‘পঞ্চপাণ্ডব’। এই পঞ্চপাণ্ডব শব্দটা কিন্তু সামাজিকমাধ্যমে সবার কাছে পরিচিত। এই পাঁচজনকে উল্লেখ করেই কিন্তু আলোচনাটা এখানে চলে আসে। এই পাঁচজনকে নিয়ে আলোচনা করলে একটা কথাও কিন্তু চলে আসে এবং সেটা হলো এদের অর্জন কী। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে আইসিসি ইভেন্ট বা বড় কোনো ট্রফি হয়তো পাইনি। ব্যক্তিগতভাবে সবার অনেক অর্জন রয়েছে। এটা নির্দ্বিধায় স্বীকার করি। (সাকিব) আমাদের বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সবার মধ্যে ছিল। তামিম, রিয়াদ কত রান করেছে, সেগুলো আর নতুন করে বলার কিছু নেই।’
বয়সভিত্তিক দল নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে হান্নান বলেন, ‘এই (তরুণ) খেলোয়াড়দের অনেকেই সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুশফিক-রিয়াদকে দেখে বড় হয়েছে। তাদের আদর্শ হিসেবে চিন্তা করেই বড় হয়েছে। এই চিন্তা থেকে কখনো হয়তো অনেকের স্বপ্ন জেগেছে, আমি যখন সাকিব ভাইয়ের মতো ক্রিকেটার হব, তখন তার (সাকিব) ৭৫ নম্বর জার্সি পরে খেলব। মাশরাফির মতো হলে ২ নম্বর পরে খেলব। তামিম হলে ২৮, মাহমুদউল্লাহ হলে বা আমাদের যে খেলোয়াড়েরা এই পাঁচজনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করছি, তাদের আদর্শ মেনেই বড় হয়েছে অথবা তাদের জার্সি নাম্বার গায়ে জড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছে।’