মাত্র কয়েক মাস আগেই দেশে ঘটে যায় গণ-অভ্যুত্থান। ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী সে আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন দুহাজারের অধিক ছাত্র-জনতা। আন্দোলনে ছাত্রদের বিরোধিতা করা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে হাসিনা সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন শোবিজের অনেক শিল্পী। আন্দোলন দমাতে ছিল তাদের নানা কর্মসূচি।
এদেরই অন্যতম অভিনেতা রওনক হাসান। অভিনেতার পাশাপাশি তিনি নাটকের শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের আড়ালে হাসিনার তোষামোদি করাই ছিল তার কাজ। সহযোগী হিসাবে ছিলেন এ সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। দুজনই হাসিনার কট্টর সমর্থক।
আওয়ামী সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিল্পীদের নিয়ে নানা কার্যক্রমে অংশ নিতেন। আন্দোলনের প্রকাশ্য বিরোধিতা সত্ত্বেও তারা এখনো সরব, যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের পদত্যাগের দাবি করেছিলেন সংস্কারপন্থি শিল্পীরা। কিন্তু কূটকৌশলে সংস্কারের নামে পুনর্বাসন করে কমিটিতে রয়ে গেলেন তারা।
এদিকে ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশের প্রেক্ষাগৃহে রওনক হাসান অভিনীত সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। এটি পরিচালনা করেছেন সোহেল রানা বয়াতি। স্বৈরাচারের দোসর একজন অভিনেতার সিনেমা নিয়ে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রওনক তার সিনেমা বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা।
তাদের দাবি, নিরীহ ছাত্র-জনতা খুনির সমর্থনকারী শিল্পীদের বিচার করতে হবে।