জামালপুরে দুইটি নাশকতা মামলায় সাবেক এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে জামালপুর সদর আমলী আদালতে নেওয়া হলে এই আদেশ দেন বিচারক রুমানা আক্তার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান জানান, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ ছাত্র-জনতার একটি মিছিল জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মোড় অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও গুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এই ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শাহাদত হোসেন সাগর গত ১ নভেম্বর জামালপুর সদর থানায় আবুল কালাম আজাদসহ ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতার নামে ও অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এছাড়াও ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে গণমিছিল এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি করে জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ শেষে শহরের বকুলতলা মোড়ে পথসভা ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ককটেল নিক্ষেপ এবং শর্টগান দিয়ে গুলি চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই ঘটনায় জামালপুর শহর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ মামুন গত ১৮ নভেম্বর জামালপুর সদর থানায় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ১৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলা দুটিতে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে ধার্য্য তারিখে তার জামিন ও রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ বলেন, আসামির জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী তারিখে জামিন শুনানির আদেশ দেন। ঘটনার সঙ্গে আসামির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তিনি ওই সময় জামালপুরে ছিলেন না।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। বুধবার বিকেলে দুইটি নাশকতা মামলায় তাকে জামালপুর আদালতে আনা হয়। বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হয়ে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল কালাম আজাদ।