২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১১:২৪:৫০ অপরাহ্ন
সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে ব্লিঙ্কেন-এরদোগান বৈঠক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৪
সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে ব্লিঙ্কেন-এরদোগান বৈঠক

টানা ১২ দিনের তীব্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। যেখানে বড় ভূমিকা আছে তুরস্কের। তবে আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হলেও এখনও স্থিতিশীলতা ফিরেনি দেশটিতে। যা ফেরাতেই এখন কাজ করছে তুরস্ক। আর সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে আঙ্কারায় স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।


স্বৈরশাসক বাশার আসাদকে উৎখাত করার পর সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা চলছে। এসেনবোগা বিমানবন্দরে হওয়া এই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, রাষ্ট্রপতির প্রধান উপদেষ্টা আকিফ চাগাতায়ে কিলিক এবং যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেটিন আলতুন উপস্থিত ছিলেন।



বিরোধী বাহিনী আসাদকে পতনের পর এই অঞ্চলে এটি ব্লিঙ্কেনের প্রথম সফর। আর এই সফরটি হয়েছে জর্ডান পরিদর্শন করার পর। যা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্টগুলির মধ্যে একটি।


কেননা, সিরিয়ায় গত ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে ন্যাটো মিত্র ওয়াশিংটন এবং আঙ্কারা সিরিয়ার বিরোধী বাহিনীকে সমর্থন করে আসছে। আর এখন তাদের উভয়ের চাওয়া সিরিয়ায় নতুন প্রশাসন অন্তর্ভুক্ত হোক এবং সিরিয়ানরা তাদের নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করুক।


ব্লিঙ্কেনের আঙ্কারা সফর নিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এরদোগান এবং ব্লিঙ্কেন সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।


সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, তুর্কি সিরিয়ায় তার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেবে। যার মধ্যে রয়েছে পিকেকে-এর সিরিয়ান উইং ওয়াইপিজি, যা দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আড়ালে ওয়াশিংটনের সমর্থনে রয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেছেন, আঙ্কারা দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ছাড় দেবে না। সেই সঙ্গে পিকেকে এবং এর সহযোগীদের পরিস্থিতির সুবিধা নিতে বাধা দেবে তুরস্ক।


এদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন সিরিয়ার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক রূপান্তরকে একটি জবাবদিহিমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তুর্কিয়ের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন। শুক্রবার ফিদানের সঙ্গে দেখা করবেন ব্লিঙ্কেন। দুই কূটনীতিকের মধ্যে আলোচনার এজেন্ডায় শীর্ষে থাকবে সিরিয়া ইস্যু।

শেয়ার করুন