১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০২:২১:৫৯ অপরাহ্ন
স্কুলে ভর্তি: ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-১২-২০২৪
স্কুলে ভর্তি: ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ

সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন গত ৩০ নভেম্বর বিকাল ৫টায় শেষ হয়েছে। এবার লটারির মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণের পালা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আর এর মাধ্যমে আবেদনকৃত প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। তারা জানতে পারবে কে কোন বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।


তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লটারির ফলাফল জানতে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে বসেই ডিজিটাল লটারির ফল অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আজ ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন।


গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের জোয়ার দেখা গেছে। বিপরীতে প্রকট হয়েছে বেসরকারিতে ভর্তির অনাগ্রহ। এবার সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি। আসন্ন শিক্ষাবর্ষে স্কুল ভর্তির জন্য সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছেন। ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৮টি পছন্দ দিয়েছেন তারা। এবার সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। ৬৮০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন।


মহানগর ও জেলা সদরের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি আসন। এর বিপরীতে এবার আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী। তারা স্কুল পছন্দ দিয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার চারটি। সেই হিসেবে ভর্তির পরও বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থাকবে। সরকারি স্কুলগুলোতে আবেদনের শীর্ষে রয়েছে মতিঝিল সরকারি বয়েজ স্কুল। বেসরকারিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে আগ্রহ বেশি দেখিয়েছেন ছাত্রীরা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে এ লটারির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ ডিসেম্বর। টেলিটকের অনুরোধে ও নানা জটিলতায় তা পিছিয়ে আজ করা হয়েছে।


গত ১২ নভেম্বর থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। যা চলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। জানা গেছে, মতিঝিল সরকারি বয়েজ স্কুলে আবেদন পড়েছে ৮ হাজার ৬৯১টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল। সেখানে আবেদন পড়েছে ৭ হাজার ৩১৩টি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল। সেখানে ৫ হাজার ৭৯৪টি আবেদন পড়েছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে শেরে বাংলানগর বয়েজ স্কুল, গণভবন সরকারি স্কুল, ধানমন্ডি সরকারি বয়েজ স্কুল, তেজগাঁও সরকারি সায়েন্স হাই স্কুল, শেরে বাংলা নগর গার্লস হাই স্কুল, মতিঝিল সরকারি হাইস্কুল ও সরকারি জামিলা আইনুল আনন্দ বিদ্যালয়।


অপরদিকে বেসরকারি স্কুলের ভর্তির আবেদনে শীর্ষে রয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল। এই স্কুলে আবেদন পড়েছে ২১ হাজার ৭০৭টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সেখানে আবেদন পড়েছে ২১ হাজার ১৭৬টি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মতিঝিল শাখা)। এখানে আবেদন পড়েছে ২০ হাজার ৩৬৮টি। এরপর রয়েছে যথাক্রমে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল কলেজের বনশ্রী শাখা, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস হাই স্কুল, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বীর শ্রেষ্ঠ মুনশী আব্দুল রউফ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ভিকারুননিসার ধানমন্ডি শাখা।


যেভাবে জানা যাবে ফল:


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের উপ-পরিচালক এবং ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ভর্তির আবেদন করেছে, লটারি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর তাদের ঐ মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। এরপর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd/) প্রবেশ করে অভিভাবকরা তাদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট দিতে পারবেন।


আর ঐ ওয়েবসাইটে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে প্রধান শিক্ষকরাও নিজ নিজ স্কুলের লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট দিতে পারবেন। ডাউনলোড করা ফলাফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ইমেইলে পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।


শেয়ার করুন