০৮ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার, ০১:১৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
সাকিব কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবেন?
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০১-২০২৫
সাকিব কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবেন?

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আর এক মাসের মতো সময় বাকি। সময়টা এখন দল গুছিয়ে নেওয়ার। সব দল আদতে তাই করছে। বাংলাদেশও সে পথেই হাঁটছে। তবে সেটা করতে হলে বাংলাদেশকে খুঁজতে হবে বড় এক প্রশ্নের উত্তর। সে প্রশ্নটা সাকিবকে নিয়ে। সাকিব আল হাসানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাওয়া যাবে কি না। 


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সদিচ্ছা বাংলাদেশ আর সাকিব দুই পক্ষেরই আছে। তবে বিষয়টা আর এখন অত সহজ অবস্থানে নেই। তাকে দলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বোর্ডের কথাই শেষ কথা নয়। সেটা সংবাদমাধ্যমকে আবারও জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ।


সাকিবের এমন পরিস্থিতির কারণ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া। ২০২৪ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন তিনি। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর এমপি পদ হারান তিনি। এরপর থেকে আরও অনেক আওয়ামী লীগ নেতার মতো তিনিও দেশের বাইরেই আছেন। 


সে কারণে তিনি দেশের মাটিতে শেষ টেস্টটা খেলার ইচ্ছা পোষণ করেও খেলতে পারেননি। এরপর চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও তার খেলা হচ্ছে না, সেটাও ওই একই কারণে। তবে আসছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সে সমস্যা নেই। টুর্নামেন্টটা হবে দেশের বাইরে, পাকিস্তান আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে; যার ফলে দেশে আসা বিষয়ক জটিলতায় পড়তে হচ্ছে না তাকে। সে কারণেই তাকে নিয়ে আশায় বিসিবি। 


তার বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেশের বাইরে, সে ক্ষেত্রে এখন এটা খুব ভ্যালিড একটা প্রশ্ন। এ ব্যাপারে আমার মনে হয়, এই বিপিএলের মধ্যেই নির্বাচকদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’


‘সাকিব এখনো অবসর নেয়নি। সাকিব যদি অবসর নিয়ে নিত, তাহলে বলতাম ও আর নেই। নির্বাচকেরা আমাদের কাছে দল গঠনের আগে পলিসি জানতে চান। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’


সাকিব নিজেও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করছেন নিজের ফেরার বিষয়ে। ফারুক বলেন, ‘সাকিব মাঝেমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, কীভাবে কী করা যায় তা নিয়ে। সরকারি পর্যায় থেকে যদি কোনো নির্দেশনা আসে, ওর যে সমস্যাগুলো আছে; ওগুলো যদি সে ঠিক করতে পারে; তাহলেই একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে।’ 


তবে সেটা হলেও সাকিবের খেলা নিয়ে প্রশ্ন শেষ হয়ে যায় না আদৌ, সেটা বিসিবি সভাপতির কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘এরপর নির্বাচক কমিটি তার ফিটনেস, মেন্টাল স্টেট—এসব দেখবে।’


চোখের সমস্যা ধরা পড়ার পর থেকে সাকিবের ব্যাটিংটা কার্যকরী নয়। বোলিং অ্যাকশন বদলে ফেলায় সেখানে কতটা কার্যকরী হবেন তিনি, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েই যায়। সঙ্গে যোগ করুন সাকিবের মানসিক অবস্থানকেও, সবশেষ উইন্ডিজ সিরিজে যে কারণে তিনি খেলতে পারেননি লাল-সবুজ জার্সি গায়ে। সরকার থেকে সবুজ সংকেত পেলেও সাকিব দলে জায়গা পাওয়ার মতো অবস্থানে আছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তাই থেকেই যায়।


শেয়ার করুন