০৭ জানুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৮:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সিলেটেও কি হবে রান উৎসব?
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০১-২০২৫
সিলেটেও কি হবে রান উৎসব?

ঢাকায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সব সময় সমালোচনা থাকে উইকেটের রানখরা নিয়ে। এবার হলো উলটো। এবার মিরপুরের মন্থর উইকেটে হলো রীতিমতো রান উৎসব।


গত আসরেও মিরপুরে রান হয়েছিল, চলতি আসরে সেটা আরও বেড়েছে। টিকিটের জন্য ছিল হাহাকার। এজন্য টিকিটের বুথে আগুন ধরানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা ভালো করেছেন। বিশেষ করে পেস বোলাররা বোলিংয়ে দাপট দেখিয়ে চলেছেন।


ঢাকায় প্রথম পর্বের শেষদিনে দুই বিদেশি চিটাগং কিংসের উসমান খান ও ঢাকা ক্যাপিটালসের থিসারা পেরেরা সেঞ্চুরি করেছেন। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের নির্দেশেই কিউরেটররা বদলে দিয়েছেন উইকেট। আগামীকাল থেকে নতুন উন্মাদনায় শুরু হবে ১২ ম্যাচের সিলেট পর্ব।


আসরের প্রথম ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ১৯৭ রান তাড়ায় দারুণ জয় পায় তামিমের বরিশাল। মাঠে ছিল গ্যালারি ভরা দর্শক। মিরপুরে যে চারদিন খেলা হয়েছে, এই দৃশ্যগুলো ছিল নিয়মিতই। আগে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে আলোচনা বেশি হতো রান খরা, দর্শকের শূন্যতা নিয়ে। এবার মিরপুরে সত্যিই দেখা যাচ্ছে নতুন কিছু। আট ম্যাচে মাত্র একবার প্রথম ইনিংসে দেড়শ ছুঁতে পারেনি কোনো দল। সব মিলিয়ে ১৬ ইনিংসে ১৬০ ছাড়ানো স্কোর দেখা গেছে নয়টি।


আট ম্যাচে সব মিলিয়ে ২৬৪৮ রান হয়। ম্যাচপ্রতি রানের গড় ৩৩১। ইনিংসপ্রতি ১৬৫.৫ রান। আগের দুই আসর থেকে রানের হিসাবে এবারের বিপিএল বেশ এগিয়ে। ২০২৪ আসরে ঢাকায় প্রথম আট ম্যাচে রান হয়েছে ২৩৭৮। ম্যাচপ্রতি গড় তিনশর নিচে, ২৯৭.২৫!


দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ সর্বোচ্চ ১২ উইকেট নেন মাত্র তিন ম্যাচেই। এক ম্যাচে ১৯ রান দিয়ে নেন বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সাত উইকেট। রংপুর রাইডার্সের খুশদিল শাহ সাত উইকেট নিয়ে আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। রংপুরের নাহিদ রানা ও খুলনা টাইগার্সের আবু হায়দার রনি যৌথভাবে নেন ছয়টি করে উইকেট। আর চিটাগংয়ের আলিস আল ইসলাম নেন দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট।


সবচেয়ে কৃপণ বোলিং করা তিনজনই বাংলাদেশের স্পিনার। খুলনার মেহেদী হাসান মিরাজ ওভার প্রতি সর্বনিম্ন চার রান করে দিয়েছেন। চিটাগংয়ের আলিস দেন ৪.২৫ রান করে। আলিসের সতীর্থ আরাফাত সানি ৫.৭৫ করে রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি।


রাজধানীতে ব্যাটে-বলে দেখা গেছে দেশিদের রাজত্ব। সর্বোচ্চ ২২৯ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ। বাংলাদেশিদের মধ্যে মাহিদুল ইসলাম ২০৬.৮১, শামীম হোসেন ১৯৫.১২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৯৪ ও নুরুল হাসান সোহান ১৮৮ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন।


সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশি। সিলেট পর্বে বিজয়-মাহিদুলরা সেটি ধরে রাখতে পারেন কি না সেটি এখন দেখার বিষয়। দেশিরা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন তাহলে আখেরে যে লাভ হবে বাংলাদেশের!


শেয়ার করুন