১২ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৮:৫৭:০৮ অপরাহ্ন
রাবিতে পাঁচ হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানো: তদন্ত কমিটি গঠন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০১-২০২৫
রাবিতে পাঁচ হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানো: তদন্ত কমিটি গঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পাঁচটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


ঘটনার তদন্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


রবিবার দুপুরে সিনেট ভবনে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, "এ ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমরা এর পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।"


তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।


জানা গেছে, সৈয়দ আমীর আলী, শহীদ হবিবুর রহমান, মতিহার ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কোরআনগুলো হলের মসজিদ থেকে বের করে এনে মাঝখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে এখনো জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন