০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৮:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন
ইজতেমায় ড্রোন আতঙ্কে শতাধিক আহত
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০২-২০২৫
ইজতেমায় ড্রোন আতঙ্কে শতাধিক আহত

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রোববার সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে মোনাজত শেষ হয় সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে। তবে মোনাজাত চলাকালে ইজতেমা মাঠে ড্রোন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে আহত হন শতাধিক মুসল্লি। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।


আখেরি মোনাজাত চলাকালে সকাল ৯ টা ৩১ মিনিটে টঙ্গী স্টেশন রোডে ফ্লাইওভারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ড্রোন মাটিতে পড়ে সৃষ্ট শব্দ থেকে এ ঘটনা বলে জানা গেছে।


প্রত্যক্ষদর্শী গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জের বাহাদুর সাদী ইউনিয়নের জুগলি গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার সামনে হঠাৎ তিনটি ড্রোন পড়ে গিয়ে বাঁশের সঙ্গে লেগে শব্দ হয়। শব্দে সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়।’


টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এএসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ড্রোন পড়ার আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে আসেন।’ অর্ধশতাধিক মুসল্লি হাসপাতালে এসেছে বলে জানান তিনি।


আহতরা হলেন,  আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১) জয়নাল (২৪),  মকবুল হোসেন (৬৪) সোহাগ (৬০), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫), সালামত (১৮), মুস্তাকিন (৩৩), কবির হোসেন (৩০), মুবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), মামুন হোসেন (২১), মো. বাসেদ (১৩), খোকন (৪৩), জুয়েল (২৫), কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪১), জবরুল (৩১), জয়নাল (৫৪), কাওছারুল আলম (২৮), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮), আফতাব উদ্দিন (৪৭) মো. আমান (২৮), আনোয়ার (৪৫), সোহেল (৩৫), ফজল হক (৪৫) ও মুজাফফর আলী (৪৪)। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।


টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শতাধিক মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়।


টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ড্রোন পড়ে যাওয়ার শব্দ থেকে আতঙ্কের সৃষ্টি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন (অপরাধ) বলেন, কামারপাড়া সড়কে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি সক্রিয় ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়। গ্রামের সহজ সরল মানুষ এটা দেখে আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।


শেয়ার করুন