০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার, ০৩:০১:০১ অপরাহ্ন
৬ দাবি আদায় না হলে রেমিট্যান্স শাটডাউন কর্মসূচি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২৫
৬ দাবি আদায় না হলে রেমিট্যান্স শাটডাউন কর্মসূচি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত আন্দোলনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও পাসপোর্ট থেকে নো-এন্ট্রি তুলে নেওয়াসহ ৬ দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। এসব দাবি আদায় না হলে তারা রেমিট্যান্স শাটডাউন (বন্ধ) কর্মসূচি দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।


শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।


আরব আমিরাত ফেরত প্রবাসী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বসে আমাদের দাবি তুলে ধরতে চাই। অতিদ্রুত প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চাই। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে রেমিট্যান্স শাটডাউন ঘোষণাসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।


খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা তো দেশের মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ওখানে আন্দোলন করেছি। আজ দেশে এসে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের কেউ ৬ মাস, ২ বছর থেকে ২০ বছর সেখানে থেকে এসেছি।


তিনি বলেন, আমরা চাই জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে আমাদের প্রবাসীদের ত্যাগের কথা লেখা হোক। আমাদের যারা ওখানে আন্দোলন করেছেন তাদের নামও ইতিহাসে লেখা হোক।


সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মিছিল করে ঘটনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মিছিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বা সম্পৃক্ত নয় কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের সমালোচনাকারী এমন অনেকের নামের তালিকা তৎকালীন কনস্যুলার জামালের মাধ্যমে সে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জমা দেয়। এভাবে যারা আমাদের গ্রেফতার করিয়েছে তাদের বিচারের দাবি জানাই।


প্রবাসীদের ৬ দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. আরব আমিরাতসহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ২. সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ফেরত প্রবাসীদের নো-এন্ট্রি দিয়েছে, নো-এন্ট্রি তুলে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেওয়া। ৩. একই মামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখনো গ্রেফতার চলমান রয়েছে, ক‚টনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে অতিদ্রুত গ্রেফতারি প্রক্রিয়া বন্ধ করা। ৪. নামের তালিকা প্রদানকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের সে সময়ের ক‚টনৈতিক, কনসাল জেনারেল বিএম জামালসহ জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা। ৫. ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মতো ট্রাস্ট গঠন করা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরের তালিকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থনের কারণে কারানির্যাতিত হয়ে দেশে আসা প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা। ৬. বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতার অনুষ্ঠান করতে আমন্ত্রণ পৌঁছানোর জন্য ৭ জনের প্রতিনিধিদলকে সাক্ষাৎকারের অনুমতি।


শেয়ার করুন