চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একমাত্র দল হিসেবে নিজেদের সবগুলো ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে ভারত। এখানকার উইকেট অনেকটা ধীর ও নিচু বাউন্সের হওয়ায় ভারত তাদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে স্পিনার রেখেছে ৫ জন। বার্তাটা পরিষ্কার দুবাইয়ে বাড়তি স্পিন ধরবে পিচে। তবে এই পরিকল্পনা নিয়ে ভারত দল গড়লেও এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হচ্ছিল একাদশে বাড়তি স্পিনার খেলাবে ভারত। সেই সংখ্যা তিন জনেরও বেশি হতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্কোয়াডে স্পিনার সংখ্যা মাত্র তিন জন। ম্যাচে নামার আগে তাই স্পিন নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় থাকতেই হচ্ছে দলকে।
তবে এর মাঝেই সুখবর মিলেছে। জানা গেছে, কদিন আগে আইএল টি-টোয়েন্টিতে ব্যবহৃত উইকেট থাকতে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ব্যবহার করা হবে তরতাজা পিচ। সাধারণত অতি ব্যবহারে মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট দেখা যায়। যেখানে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। তবে এখানে নতুন পিচ ব্যবহৃত হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবেন না স্পিনাররা।
উইকেট পরিচর্যা সম্পর্কে জানাশোনা আছে, এমন একটি সূত্র ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে এমন তথ্য।
সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০টি পিচ আছে। আইএল টি-টোয়েন্টির লিগ পর্যায়ে বিশেষ নির্দেশনা ছিল যেন, দুটি উইকেটে কোনো খেলা না হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তরতাজা রাখতে বলা হয়েছিল পিচ দুটি। নকআউট ম্যাচের এই দুই উইকেটের কোনোটি ব্যবহার করা হয়েছে কি না, জানা নেই।’
‘তবে মূল ব্যাপার হলো, অতি ব্যবহারে উইকেট যাতে মন্থর ও নিচু বাউন্সের না হয় এবং ম্যাচ বিরক্তিকর না হয়ে ওঠে, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তরতাজা উইকেটে ব্যাটসম্যান ও বোলাররা সমান সহায়তা পেতে পারে।’
এমনটি হলে ভেস্তে যেতে পারে ভারতের স্কোয়াডে বাড়তি স্পিনার রাখার পরিকল্পনা। সুবিধা পেতে পারে ভারতের বিপক্ষে খেলা বাকি দলগুলো। এখন দেখার অপেক্ষা সত্যিই সেটি হয় কিনা।